এই সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের রূপ বিশেষজ্ঞ কনা আলম
মুখের সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়মে পরিচর্যা। এক্ষেত্রে ফেইশল খুবই কার্যকর একটি উপায়। নির্দিষ্ট বয়স অর্থাৎ ২৫ বছর বয়সের পর থেকেই এটা করা উচিত।
কনা আলম বলেন, “রোম-কূপে জমে থাকা ময়লা সহজে পরিস্কার করা যায় না। যার ফলে ত্বকে নানান সমস্যা যেমন ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস ইত্যাদি তৈরি করে। ফেশল্ শুধুমাত্র এইসব সমস্যার সমাধানই করে না, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে।”
ফেইশল করার নিয়মাবলী:
ত্বকের ধরণ বুঝে ফেইশল করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বক আর শুষ্ক ত্বকের ফেইশল করার পদ্ধতি এক নয়। আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে নিচের পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে পারেন।
অ্যারোমা ফেইশল
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য অ্যারোমা ফেইশল উপযোগী। অ্যারোমা অয়েল স্নায়ুকে ঠান্ডা করে। মুখে উজ্জ্বল ভাব আনে। আধা চা-চামচ গুঁড়া দুধ, দুই ফোটা লেমন-অয়েল দিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং মুখে লাগান। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাকনে ফেইশল
বেশিরভাগ সময় তৈলাক্ত ত্বকে এই ফেশল্ করা হয়। এ জাতীয় ত্বকে ব্রণ, ফুস্কুরি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।অ্যাকনে ফেশল্টি তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকর। ফেস-প্যাক হিসেবে ১ কাপ দইয়ের সাথে অর্ধেক পাতি লেবুর রস মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
হানি ফেইশল
শুষ্ক ত্বকের জন্য হানি ফেইশল খুবই উপকারী। ১ টেবিল-চামচ মধু, ১টি ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফ্রুট ফেইশল
ফ্রুট বা ফল দিয়ে ফেইশল করা প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী। এ ক্ষেত্রে ক্রিমের বদলে ফল দিয়ে ফেইশল করলে উপকার পাওয়া যায়। ফ্রুট ফেইশল-এ ফেইসপ্যাক হিসেবে একটা শসা, আধা চা চামচ পাতি লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সঠিক নিয়মে নিয়মিত ফেইশল-এর মাধ্যমে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর। আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়।
ছবি সৌজন্যে: পার্সোনা হেয়ার এন্ড বিউটি লিমিটেড।