শরীর ঠিক রাখতে মিষ্টি এড়িয়ে যত রকম ডায়েটই করা হোক না কেনো, সামনে পেলে রসালো নরম মিষ্টির লোভ সংবরণ করা চাট্টিখানি কথা নয়। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সপ্তাহে একদিন ছুটি দেন নিজেদের; সেদিন তারা ইচ্ছে মতো খান।
তেমনি একদিনে চটজলদি মালপোয়া বানিয়ে মিষ্টিমুখ করে নিন।
উপকরণ
৫টি ছোট দেখে পাকা কলা। ১ কাপের সামান্য কম চিনি। ১ কাপ সুজি। ১ কাপ ময়দা। তরল দুধ। দেড় চা-চামচ গোটা মৌরি। আধা চা-চামচ লবণ। ভাজার জন্য তেল। ২ চা-চামচ পেস্তা বাদাম কুচি।
সিরার জন্য- ১ কাপ চিনি। ২ কাপ পানি। ৪টি এলাচ।
পদ্ধতি
তাই কলা ও চিনির মিশ্রণ একটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এতে মসৃণ একটা গোলা পাওয়া যাবে।
এই মিশ্রণে এবার দিতে হবে সুজি ও ময়দা। চামচ দিয়ে একবার মিশিয়ে নিয়ে এবার অল্প অল্প করে তরল দুধ মেশাতে হবে। একবারে তরল দুধ দেওয়া যাবে না, তাতে গোলা বেশি পাতলা হয়ে যেতে পারে।
গোলাটা মসৃণ হবে তবে পাতলা হবে না, আবার খুব ঘনও হবে না।
এখন মৌরি ও লবণ দিন। সামান্য লবণ দিলে মিষ্টির মিষ্টতা বাড়তি মাত্রা পায়।
মিশ্রণটা ভালো মতো নেড়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রাখুন।
এই ফাঁকে সিরা বানিয়ে ফেলা যাক। সিরা বানাতে এক কাপ চিনিতে দুই কাপ পানি দিয়ে নাড়তে হবে। সিরাতে এলাচ ছেড়ে দিতে হবে। সিরা ঘন করার দরকার নেই; ফুটে উঠলে চুলার জ্বাল একদম কমিয়ে রাখতে হবে।
এবার একটি ছোট গোল বাটি অথবা গোল চামচ নিতে হবে। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে আঁচ মাঝারি করে দিতে হবে।
মালপোয়ার দুই পিঠ বাদামি রং হলে তেল যতটা সম্ভব ঝরিয়ে কড়াই থেকে তুলে নিতে হবে। এভাবে বাকি মালপোয়াগুলো ভেজে নিন।
ভাজা মালপোয়া দুই-তিনটি করে সিরায় ছেড়ে দিতে হবে। একটু ভিজলে তুলে নিতে হবে। এভাবে সবগুলো ভাজা মালপোয়া রসে ভিজিয়ে তুলে নিতে হবে একটি বাটিতে।
সিরা যদি রয়ে যায় তো ওই সিরা এবার রসে ভেজা মালপোয়া রাখা বাটিতে ঢেলে দিন।
বাটির ওপরের দিকে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন। মালপোয়া স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে বাটি ফ্রিজে রেখে দিন।