বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর খাদ্যাভ্যাস

বয়সের সঙ্গে বিপাকশক্তি কমলে দেখা দিতে পারে ক্লান্তি, চুল পড়া, মাথা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2022, 10:15 AM
Updated : 20 July 2022, 10:15 AM

বয়স পঞ্চাশ পেরোলে সুস্থ থাকার জন্য দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নতুন অভ্যাস যোগ করতে হয়, আর কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হয়।

যেমন- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, শরীরচর্চা করা এবং এমন খাবার খাওয়া যা সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

বয়সের সঙ্গে শরীরে দেখা দেওয়া নানান দুর্বলতার মধ্যে একটি হল বিপাকশক্তি কমে যাওয়া। যে কারণে ক্লান্তি বাড়ে, চুল পড়ে যায়, মাথাব্যথা দেখা দেয় ঘন ঘন, ওজন বাড়তে থাকে।

বয়সের সঙ্গে শরীরের অবস্থার অবনতি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও এর গতি কমানো সম্ভব। Top 5 eating habits to speed up belly fat loss in your 50s

মরিচ খাওয়া বাড়ানো

‘ফার্স্ট টাইম মম’স প্রেগনেন্সি কুকবুক’, ‘দ্য সেভেন ইনগ্রিডিয়েন্ট প্রেগনেন্সি কুকবুক’ ও ‘ফুয়েলিং মেল ফার্টিলিটি’ বইগুলোর রচয়িতা পুষ্টিবিদ লরেন মানাকার।

ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “দৈনন্দিন খাবারে মরিচ যোগ করার মাত্রা বাড়ালে তা হজমক্ষমতা বাড়ায়। মরিচে মেলে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক ‘ক্যাপসাইসিনোয়েডস’। প্রধানত এই উপকারিতার মূল উপাদান।”

বায়োসাইন্স রিপোর্টস’য়ের গবেষণা বলে, ‘ক্যাপসাইসিন’ নানারকম স্বাস্থ্যগুণের অধিকারী। বিশেষ করে স্থূলকায় মানুষের ওজন কমাতে এবং হজমক্ষমতা বাড়াতে এটি বেশি কার্যকর।

আদা

মানাকার বলেন, “শরীরের ক্যালরি খরচ করার একটি প্রক্রিয়া হলো ‘থার্মোজেনেসিস’। আর গবেষণায়ে দেখা গেছে আদা এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়ায়। এছাড়াও শরীরের প্রদাহের আশঙ্কা কমানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা, ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট’কে সক্রিয় করা ইত্যাদি কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আদা।”

ওজন কমাতে আদা উপকারী। এইসব গুণাগুণের প্রধান হল আদাতে উদ্ভিজ্জ জৈব রাসায়নিক উপাদানগুলো যা কাজ করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে।

ওটস

মানাকার পরামর্শ দেন, “ওটস ও অন্যান্য পরিপূর্ণ শষ্য ধরনের খাবার স্বাস্থ্যকর হজমতন্ত্র গড়ে তুলতে সহায়ক। শোয়া কিংবা বসা অবস্থায় একজন মানুষের হজমক্রিয়া বাড়াতে পরিপূর্ণ শষ্য-ধরনের খাবারগুলো অত্যন্ত উপকারী।”

ওটস লম্বাসময় পেট ভরা রাখে এবং বেশি চর্বি খরচ করতে সাহায্য করে। কারণ ওটস’য়ে ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’য়ের মাত্রা বেশি। এই ‘স্টার্চ’ হজম প্রক্রিয়াকে ফাঁকি দিয়ে অন্ত্রে পৌঁছে সেখানকার উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার খাবার হয়। এতে অন্ত্রে ‘মাইক্রোবায়োম’য়ের ভারসাম্য বজায় থাকে।

চকলেট

‘ফ্লাভানয়েড’য়ের মাত্রা বেশি এমন ‘ডার্ক চকলেট খাওয়া পরামর্শ দেন মানাকার।

 তিনি আরও জানান, “২০১৮ সালে ‘মলিকিউল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, ৭০ শতাংশ কোকো আছে এমন ডার্ক চকলেট প্রতিদিন ২ গ্রাম করে ছয় মাস পর্যন্ত নিয়মিত খাওয়া হলে শরীরের শর্করা হজম করার ক্ষমতা বাড়ে।”

তুলনাটা হল- একইভাবে ‘ডার্ক চকলেট’য়ের বদলে ‘মিল্ক চকলেট’ খেয়েছেন তাদের সঙ্গে।

তবে যে চকলেটই খান না কেনো, পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি খেলে সেটা আবার ওজন বাড়াবে দ্রুত।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন