শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক জীবনযাত্রার কোনো বিকল্প নেই।
Published : 23 Jun 2022, 08:55 PM
ব্যায়াম আর ডায়েট চার্ট অনুসরণ ইত্যাদি নানান ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে সু্স্থ থাকার জন্য চাই সাধারণ কিছু অভ্যাস।
এর জন্য বেশি কষ্টও করতে হয় না।
জীবনযাত্রার এসব সহজ অথচ ভালো রাখার অভ্যাস সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক’য়ের স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ, ব্যায়াম বিশারদ ও স্বাস্থ্যবিষয়-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘গ্রুমবিল্ডার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্থোনি জে. ইয়ং ইটদিস নটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “কঠিন কিছু করে জটিলতা বাড়ানোর দরকার নেই, যেখানে ছোটখাটো অভ্যাসই ভালো থাকার জন্য যথেষ্ট।”
তাই সুস্থ থাকতে তিনি বেশ কয়েকটি অভ্যাস চর্চার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
চলা ফেরা: শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টা সময় এর জন্য বরাদ্দ রাখা জরুরি। দিনের সময়গুলো কীভাবে কাটানো হচ্ছে তার ওপর স্বাস্থ্য অনেকটা নির্ভর করে। শুয়ে বসে সময় কাটানো নানান গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে।
নড়াচড়া শরীর, কোমড়ের মাপ এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কাজ থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিয়ে স্ট্রেইচিং করা বা হাঁটা উপকারী।
লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা যায়। মাঝে মধ্যে নাচুন। জিমের বাইরে বাকি কাজ কর্মের মধ্যই আসল জীবনধারা বিদ্যমান।
আসল খাবার খাওয়া: মেডিটেরিয়ান, পালিও বা গ্লুটেইন মুক্ত- ইত্যাদি যে কোনো খাবারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, চর্বিহীন মাংস, মাছ, সবজি, শস্য ও ফল ইত্যাদি যা বাক্সে না এসে বরং তাজাই কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
এগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, পুষ্টি, আঁশ এবং শরীর ভালো রাখে এমন নানান গুণ।
অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণ হতে থাকে।
মানসিক চাপ হ্রাস: অতিরিক্ত মানসিক চাপ নানান রকমের রোগ যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হতাশা এমনকি ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যা সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখা উচিত, এতে চাপ কমে ও মন হালকা হয়। মননশীল কাজের অনুশীলন করা উচিত, এতে উদ্বেগ ও রক্তচাপ কমে।
ইতিবাচক মনোভাব নানান রোগ যেমন- হৃদরোদ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক এবং সংক্রমণ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায়।
পর্যাপ্ত পানি পান: মানব দেহ প্রায় ৬০ শতাংশ পানি। তাই একে সঠিকভাবে আর্দ্র রাখতে ও শরীর সুস্থ রাখতে পানি পান করা আবশ্যক। দেহে সামান্য পরিমাণ পানির ঘাটতি মেজাজ, শক্তি এবং স্বাস্থ্যের ওপরে প্রভাব রাখে।
পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি অতিরিক্ত শর্করা-জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। পানি পানের আদর্শ মাত্রা নির্ভর করে কাজের ধরন, লিঙ্গ, পরিবেশ ইত্যাদির ওপর।
পর্যাপ্ত পানি পান করা হচ্ছে কিনা তা বোঝার সহজ উপায় হল মূত্রের হলুদ বর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুম: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশি গঠন, কোষ গঠন এবং দেহ আরোগ্য লাভসহ নানান কাজে ভূমিকা রাখে ঘুম।
প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমানোর আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, উজ্জ্বল আলো থেকে দূরে থাকা এবং ক্যাফেইন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। এতে ঘুম ভালো হয়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন