থাইরয়েড গলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি। এটি এমন হরমোন তৈরি করে যা দেহের বিভিন্ন অংশে নানান কাজ করে থাকে।
এর নিঃসরণ ও নিয়ন্ত্রণ বিপাকে ভূমিকা রাখে, যে প্রক্রিয়ায় খাবার দেহে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
থায়রয়েডের সমস্যা মানে হল এই হরমোনের বেশি বা কম উৎপাদন।
থায়রয়েড রোগের নানান ধরণ রয়েছে যেমন- হাইপো-থায়রয়েডিজম, হাইপার-থায়রয়েডিজম, থারোডিটিস এবং হাশিমোটো’স থায়রোডিটিস ইত্যাদি।
এগুলো নানান কারণে হয়। যেমন- আয়োডিনের স্বল্পতা বা বংশগতির কারণে হয়ে থাকে বলে জানান, নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ মলি হেম্ব্রি।
তার মতে, “অধিকাংশ থায়রয়েড হল একটি নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড বা ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’।
ইটদিস নটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে থায়য়েডের জন্য ক্ষতিকারক খাবার সম্পর্কে জানান মলি হেম্ব্রি।
থায়রয়েড রোগের লক্ষণ
হেম্ব্রি বলেন, “হাইপোথায়রোডিজমের কারণে প্রাথমিকভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়। খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা করার পরেও যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ওজন বাড়তে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এটা হাইপোথায়রোডিজমের জন্য হতে পারে।”
কী খাওয়া হচ্ছে তা সরাসরি থায়রয়েডের ওপরে প্রভাব রাখে।
হেম্ব্রির মতে, “থায়রয়েডের জন্য সব চেয়ে খারাপ হল গোয়েট্রোজেন্স সমৃদ্ধ খাবার।
হেম্ব্রি বলেন, “গোয়েট্রোজেন্স খাবার মানে হল সেটাতে গোইট্রিন যৌগ রয়েছে। যা থায়রডের হরমোনের সংশ্লেষের ওপর প্রভাব রাখে এবং তা আয়োডিনের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে।”
ক্রসিফেরাস সবজি
হেম্ব্রি বলেন, “গোয়েট্রোজেন্স সমৃদ্ধ কাঁচা সবজি হল- ব্রকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এমনকি সয়া ও ভুট্টা। সবজির নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচতে তা গরম করে খাওয়া যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “গরম করে এই ধরনের সবজি খাওয়া হলে গোয়েট্রোজেনিক সক্রিয়তা হ্রাস পায়। কাঁচা সবজি ও সয়া পরিমিত খাওয়া হলে তা থায়রয়েডের ওপর কোনো প্রভাব রাখে না।”
যদিও অনেক পুষ্টিবিদ খাবার তালিকা থেকে সম্পূর্ণভাবে ‘মিলিট’ বা ভুট্টা ধরনের খাবার পরিহার করার পরামর্শ দেন।”
বৃটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত বৃটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের করা গবেষণায় দেখা গেছে, সুষম খাদ্যাভ্যাস থায়রয়েডের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে কোনো এক ধরনের খাবার বেশি খাওয়া অন্য খাবারের ঘাটতি সৃষ্টি করে এবং গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে।
যেমন- অতিরিক্ত চর্বি, টক বা আয়োডিন-জাতীয় খাবার খাওয়া।
এছাড়াও সবজিতে থাকা কিছু অজানা পুষ্টিগুণ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হলে গোয়েট্রোজেনিক হতে পারে।
হেম্ব্রির মতে, “এগুলো কপি ঘরানার সবজির মধ্যেই উপস্থিত থাকতে পারে।”
খাদ্যাভাসে কোনো আমূল পরিবর্তন আনতে চাইলে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন