মুখের একপাশ অবশ: কারণ ও প্রতিকার

বেশি কথা বললে বা গান গাইলে মুখে পক্ষাঘাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2022, 11:50 AM
Updated : 12 June 2022, 11:50 AM

কারণ গায়ক জাস্টিন বিবার যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটার নাম ‘র‌্যামজি হান্ট সিন্ড্রম’। আর এই রোগের জন্য দায়ী হচ্ছে ‘ভেরিসেলা জস্টার’ ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, এই ভাইরাস মুখের স্নায়ুতে আক্রমণ করলে ‘র‌্যামজি হান্ট সিন্ড্রম’ হয়। আর এই ভাইরাস চিকেনপক্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সাধারণত চিকেনপক্স থেকে সেরে ওঠার সময় ভাইরাস পুনঃপ্রক্রিয়াশীল হয়ে উঠলে এরকম হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভনশন’ আরও জানায়, এরফলে দেখা দিতে পারে যন্ত্রণাকর চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি।

তবে ছোটবেলা থেকেই চিকেনপক্সের টিকা দেওয়া থাকে বলে মুখের এই পক্ষাঘাতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকেই না।

ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চিকেনপক্সের টিকা সর্বসাধারণের জন্য সহজলভ্য করা হয়। আর একই বছর কানাডা এই টিকা ব্যবহারে অনুমতি দেয়। যদিও কানাডিয়ান গায়ক জাস্টিন বিবারের জন্ম ১৯৯৮ সালে।

তাই ‘র‌্যামজি হান্ট সিন্ড্রম’কে দুর্লভ রোগ বলা যেতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ‘রেয়ার ডিজিজ ডেটাবেইজ’য়ের তথ্যানুসারে ১ লাখের মধ্যে মাত্র ৫ জনের এই রোগ দেখা দেয়।

লক্ষণ

মেডিসিননেট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী- কান কিংবা মুখে বা দুই জায়গাতেই যন্ত্রণাকর লালচে ফুসকুড়ি বা গুটি ওঠে। আর মুখের যে কোনো একপাশ অবশ হয়ে যায়।

রোগ নির্ণয়ের জন্য ফুসকুড়ি থেকে তরল সংগ্রহ করে ‘পিসিআর’ পরীক্ষা করা হয়।

ছোঁয়াচে কি-না

এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। তবে অনেকসময় র‌্যামজি হান্ট সিন্ড্রম’য়ে ওঠা ফুসকুড়িতে ‘হার্পিজ জস্টার’ ভাইরাসও মেলে। যা ছোঁয়াচে এবং যাদের টিকা নেওয়া হয়নি বা কোনো দিন চিকেনপক্সে আক্রান্ত হননি তাদের  চিকেনপক্স হয়।

তাই এই রোগ দেখা দিলে ভালো না হওয়া পর্যন্ত শিশুসহ অন্যদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজেকে আবদ্ধ রাখতে হবে ঘরে।

চিকিৎসা

বিভিন্ন রকম অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। তবে লক্ষণ দেখা দেওয়ার তিনদিনের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, কারও ক্ষেত্রে মুখের পক্ষাঘাত স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। তবে সাধারণত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এবং কোর্টিকোস্টিরয়েড্স দিয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে র‌্যামজি হান্ট রোগ সারিয়ে তোলা যায়।

আরও পড়ুন