সূর্যের তাপ থেকে ত্বকের ক্ষয় প্রতিরোধ করার পন্থা

রোদপোড়া থেকে ত্বকে ক্যান্সারও হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2022, 06:09 AM
Updated : 25 May 2022, 06:11 AM

সানস্ক্রিন লাগানো এবং দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো এড়ানো ‘হাইপারপিগমেন্টেইশন’ এবং অকালে বলিরেখার মতো বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডিনা’র বোর্ড-প্রত্যায়িত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আইভি লি বলেন, “স্কিন ক্যান্সার’ হল ক্যান্সারের সাধারণ একটি রূপ। আর এটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।”

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির অসুরক্ষিত সংস্পর্শ ত্বকের ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে বড় এবং প্রতিরোধযোগ্য ঝুঁকির কারণ। এটা প্রতিরোধ করা ত্বককে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।”

রোদে পোড়া মোটেই নিরাপদ নয়

ডা. লি বলেন, “অনেক রোগী আমাকে বলেছেন যে তারা রোদে পোড়েন না, কেবল পোড়াভাব সৃষ্টি হয়। সত্যি বলতে ‘কেবল পোড়াভাব’ বা 'নিরাপদ ট্যান' বলে কিছু নেই। রোদের সংস্পর্শে গেলেই ত্বকের কোষের ডিএনএ’র ক্ষতি হয়। রোদের কারণে ডিএনএ’র ক্ষতি বাড়তে থাকে। এর ফলে অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ, কালো দাগ, খসখসে চামড়া ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্ট হয়। এটা অনেকক্ষেত্রে ত্বকের ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে।”

যে কোনো বর্ণের মানুষেরই ‘স্কিন ক্যান্সার’ হতে পারে

যদিও হালকা বর্ণের অধিকারীদের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তার মানে এই নয় যে গাঢ় রংয়ের অধিকারীদের এই ঝুঁকি নেই।

ডা. লি’র ভাষায়, “ত্বকের ক্যান্সার সাধারণত শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে যখন তা থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই গায়ের রং নির্বিশেষে সকলেরই ত্বক পরীক্ষা করানো উচিত ও ‘স্কিন ক্যান্সারের’ বিষয়ে সচেতন থাকা জুরুরি।”

কমপক্ষে এসপিএফ-৩০ সমৃদ্ধ একটি ‘ব্রোড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করা উচিত

সব সানস্ক্রিন সমানভাবে তৈরি হয় না। তাই ‘ব্রোড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন’ অর্থাৎ এটা ইউভিবি এবং ইউভিএ রশ্মিকে অবরুদ্ধ করতে পারে। আর এই দুই প্রধান অতি বিকিরণ পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছায়। এগুলো থেকে সুরক্ষিত থাকতে কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করা উচিত।

ডা. লি জানান, এসপিএফ ৩০ মানে হচ্ছে সূর্যরশ্মিকে প্রায় ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করতে পারে।

পর্যাপ্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার

ডা. লি পরামর্শ দেন, “সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর তা পুনরায় ব্যবহার করতে হবে। সঠিক পরিমাণে সানব্লক ব্যবহার না করলে তা সুরক্ষাও সঠিকভাবে দিতে পারবে না।”

যেমন- অর্ধেক পরিমাণ সানব্লক ব্যবহারে তা অর্ধেক অর্থাৎ এসপিএফ ১৫ এর সমান সুরক্ষা দেবে। সূর্যালোক থেকে বাঁচতে রোদ চশমা, বড় টুপি ব্যবহার করা ভালো।

ডা. লি’র মতে, “দুই থেকে চার ঘণ্টা পর পর পুনরায় সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। যদি ঘাম বেশি হয় বা আলো প্রতিফলিত হচ্ছে এমন স্থানে থাকা হলে আরও ঘন ঘন সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।”

আরও পড়ুন