পেটের মেদ কমাতে সেরা অভ্যাস

ব্যায়াম আর ডায়েট করেও পেট কমছে না? তাহলে গড়ে তুলুন সহজে পেট কমানোর অভ্যাস।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2022, 08:12 AM
Updated : 24 May 2022, 08:12 AM

ওজন কমানোর যাত্রা সহজ কথা নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা আর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ওজন কমানোর অন্যতম শর্ত।

সাম্প্রতিক গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং কর্মঠ জীবনযাপন করা স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

চেষ্টার পরেও অনেকে ওজন কমাতে না পারায় বিশেষজ্ঞরা এর কারণ অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধান অনুযায়ী ব্যক্তির মানসিকতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্যালরিবহুল খাবার কম ও মিষ্টি পানীয় একদমই নয়

দেহের ওজন কমানো ও নিয়ন্ত্রণ করা মূলত নির্ভর করে ক্যালরি গ্রহণ ও তা পোড়ানোর মাত্রার ওপর।

হার্ভার্ড হেল্থের বরাত দিয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওজন কমানোর যাত্রায় এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে, যা গ্রহণ করেন তার চেয়ে বেশি শক্তি ব্যয় করার ওপর মনোযোগ দিতে হবে।

ওজন কমা শুরু করলে এবং তা নিয়ন্ত্রণযোগ্য মাত্রায় চলে আসলে আগের চেয়ে তার প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে।

ফল ও সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো

সবজি ও ফল খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নানাভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পুষ্টিউপাদান, খনিজ এবং আঁশ। যা অন্ত্র ও হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

‘নিউট্রিশন জার্নাল’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবজি খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে, ওজন কমাতে সহায়তা করে।

নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা

হার্ভার্ড হেল্থের করা গবেষণা থেকে জানা যায়, ওজন কমাতে মানসিক লক্ষ, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নিজের যোগ্যতার ওপর নির্ভর করা উপকারী।

গবেষকরা নিশ্চিত করেন যে, কার্যকরভাবে ওজন কমানো এবং পরিচালনার কৌশল মানসিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

উদাহরণ স্বরূপ- ওজন কমানোর যাত্রায় স্ব-নিয়ন্ত্রণ, স্ব-সংযম এবং স্ব-কার্যকারিতার মতো জিনিসগুলো গুরুত্ব বহন করে।

‘ওবেসিটি রিভিউ’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মতো জিনিসগুলো ওজন কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করলেও, ওজন কমাতে নিজের লক্ষ্য, আগ্রহ এবং এর ধারাবাহিকতা মেনে চলা প্রয়োজন।

নিজেকে নিয়ে গর্ব করা

‘ডায়েট’ করাকে অনেকেই লজ্জাজনক মনে করেন। বিশেষ করে যারা কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন। তাই অনেকেই নিয়মিত এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করেন না।

কারণ মনের মধ্যে ভয় কাজ করে এই ‘ডায়েট’ হয়ত বেশিদিন অনুসরণ করতে পারবে না, আর সেই অভ্যাস ছেড়ে দিলে আরও ওজন বেড়ে যাবে।

হার্ভার্ড হেল্থ অনুযায়ী. যারা নিজেকে সহজভাবে গ্রহণ করে, স্বাস্থ্য ও চেহারা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং নিজেকে নিয়ে গর্বিত ও অনুপ্রাণিত হয়, তাদের জন্য ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়।

ছবির মডেল: বন্যা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।

আরও পড়ুন