ঈদের দিনে সুস্থ থাকতে

খুশির ঈদে বেসামাল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার চাইতে কম খাওয়া ভালো।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2022, 10:14 AM
Updated : 3 May 2022, 10:14 AM

তবে সকাল থেকে মিষ্টি সেমাই, পায়েস, দই, মিষ্টি আবার দুপুরে অপরিমিত ভারী খাবারে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

“খাবার খাওয়ার সময় বেসামাল না হয়ে বরং কিছুটা সময় নিয়ে ও পরিমিত পরিমাণে সব খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো,” বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ মাসুদা। 

মিষ্টি খাবার দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় তাই একবারে অনেক মিষ্টি খাবার বা একাধিক মিষ্টি খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

“দেখা যায় সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ উৎসবের দিনে দুতিনটা মিষ্টি একবারে খেয়ে ফেলেন, এতে হয়ত তার তাৎক্ষণিক কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না কিন্তু যাদের কিছুটা শারীরিক অসুবিধা যেমন- ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।”

তাই খাবার গ্রহণের আগে নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।

দুপুরের মেনুতে মসলাযুক্ত মাংস, বিরিয়ানি, কাচ্চি ইত্যাদি খাবার থাকলে, খাবার গ্রহণের পরিমাণের দিকে সচেতন হতে হবে। অতিরিক্তি তেল চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার অনেক বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। এতে হজম ও পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খাবার মেনুতে তিন বেলায় ভারী খাবার না রেখে কিছুটা সহজ পাচ্য খাবার রাখা যেতে পারে। যেমন- একটা মিশ্র সবজির ভাজি ।

গরু বা অন্যান্য রেড মিট রান্নার ক্ষেত্রে কিছটা সচেতন হওয়া জরুরি। যথা সম্ভব কম তেলে রান্না করা শরীরের জন্য ভালো। এছাড়াও এগুলো রান্নার সময় ভিনিগার, টক দই, পেঁপেবাটা ও লেবুর রস ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে মাংস সুসিদ্ধ হবে ও হজমে সমস্যা হবে না।

খাবারের সময় বেশি করে সালাদ খাওয়া উচিত।

যাদের শারীরিক সমস্যা যেমন- ডায়াবেটিস, রক্ত চাপ, থায়রয়েড ইত্যাদি রয়েছে তাদের খাবার অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

খাবার থেকে যেন গ্যাস বা বদ হজমের সমস্যা দেখা না দেয় তাই খাবার শেষে টক দই, লেবুর শরবত, ফ্রুট সালাদ ইত্যাদি খাওয়া উপকারী বলে জানান, ফারাহ মাসুদা।