নারীদের ত্বকের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভাবস্থা, মাসিক চক্র ইত্যাদির কারণে নারীদের ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2022, 03:06 PM
Updated : 22 April 2022, 03:06 PM

এসব সমস্যা খুব সাধারণ হলেও অযত্নের কারণে খারাপ ফলাফল দেখা দিতে পারে।

খুব সাধারণ কিন্তু মনোযোগ দেওয়া এবং চিকিৎসার প্রয়োজন এমন কয়েকটি সমস্যা সম্পর্কে জানান টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান ভারতের ‘কেলিন ন্যাচারালস’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজিত ডালমিয়া।

ব্রণ: গর্ভাবস্থা এবং হরমোনের ভারসাম্য হীনতার কারণে দেহে পরিবর্তন আসে। ফলে অধিকাংশর মুখে ব্রণ আকারে দেখা দেয়।

লোমকূপ বন্ধ হয়ে গিয়ে তাতে তেল আবদ্ধ হয়ে ব্রণ দেখা দেয়। যা মূলত হরমোনের কারণে হয়ে থাকে।

এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস, সিস্ট ও একনির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

ব্রণের চিকিৎসা না করলে ত্বকে কালো দাগ ও ছোপ ছোপের সৃষ্টি করে। সাধারণ বা মারাত্মক দুই ব্রণের সমস্যাতেই ত্বক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সমাধান করা যায়।

অ্যাডাপালিন টপিকাল ক্রিম ও আইসোট্রেটিনোইন সমৃদ্ধ ক্রিম, জেল, লোশন ব্যবহার ও মুখে খাওয়ার আকরে তৈরি ওষুধ ট্রেটিনোইন টপিকাল গ্রহণ করা উপকার দেয়।

রোদপোড়াভাব

নারীদের মুখে রোদপোড়াভাব দেখা দেওয়া আরেকটি সাধারণ সমস্যা। নারীদের ত্বক সাধারণভাবেই সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে দ্রুত আক্রান্ত হয়।

তাই নারীদের রোদ থেকে বাঁচতে উন্মুক্তস্থানে সানব্লক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

রোদপোড়াভাব কমাতে মৃদু সাবান ও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা, ত্বক আর্দ্র রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং তেল বিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উপকারী।

রোজেশা

এটা ত্বকের আরেকটা সাধারণ সমস্যা যেখানে মুখে ফোলাভাব, লালচেভাব, রক্তনালী স্পষ্ট হয়ে ওঠে ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

এই সমস্যা সাধারণত বয়স ত্রিশের পরে হয় যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, শিরার সমস্যা বা পরিবেশের কারণে হয়ে থাকে।

অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মেট্রোনিডাজল ক্রিম বা মুখে ডক্সিসাইক্লিন গ্রহণ করা এই চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাজলাইক অ্যাসিড জেল স্ফীত ফুসকুড়ি, বেটা-ব্লকারস বা ব্রণের ওষুধের জন্য আইসোট্রেটিনোইন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে।

পায়ে সংক্রমণ

পায়ে ঘাম বা ময়লার জন্য ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। এছাড়াও লালভাব, চুলকানি এবং ফাটা ত্বক এমনকি দুই আঙ্গুলের মাঝে সংক্রণের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণভাবেই সংক্রমণ এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এর ব্যাতিক্রম হলে বা উন্নতি দেখা না দিলে সংক্রমণের মাত্রা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।

আরও পড়ুন