এই বিষয়ে ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, ভারতের ‘ইয়াভানা অ্যাস্থেটিক্স ক্লিনিক’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মাধুরী আগরওয়াল বলেন, “যেহেতু এখানে দুটি পরিষ্কারক ব্যবহার করা হয় তাই তা ভারী মেইকআপ এবং ‘টিন্টেড সানস্ক্রিন’ দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকর।”
ডাবল ক্লিঞ্জিং কী?
ডা. আগারওয়াল বলেন, “ত্বকের ময়লা ভালোভাবে অপসারণ করতে এবং ব্রেকআউট প্রতিরোধ করার জন্য ডাবল ক্লিনজিং প্রয়োজন।”
ডাবল ক্লিঞ্জিং সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এর প্রথম ধাপ হল, বাম বা তেল ভিত্তিক কোনো পরিষ্কারক, মাইসেলার ওয়াটার বা মেইকআপ অপসারণ করে এমন কোনো পণ্য দিয়ে ভালো মতো মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেইসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে নেওয়া।”
প্রথম ধাপেই চোখের মেইকআপ তুলতে এই ধরনের পণ্য তুলা বা পাতলা কাপড়ে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড চাপ দিয়ে ধরে আলতোভাবে গোলাকার মালিশ করে মেইকআপ তুলে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে উপযুক্ত ফেইশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে মুখ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হবে।
জানা জরুরি
“দিনের অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং মেইকআপ দূর করার জন্য রাতে একবার ‘ডাবল ক্লিনজিং’ করা যথেষ্ট। সকালে নিয়মিত মুখ ধোয়া ত্বক পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট,” বলেন ডা. আগরওয়াল।
তিনি দিনে একবারের বেশি ‘ডাবল ক্লিনজিং’ এড়ানোর পরামর্শ দেন।
অতিরিক্ত ‘ডাবল ক্লিঞ্জিং’ করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকার হতে পারে।
এই বিশেষজ্ঞের মতে, “ভারী মেইকআপ ব্যবহার করা না হলে শুষ্ক, সংবেদনশীল বা র্যাশ-প্রবণ ত্বকে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ এড়ানো উচিত। এতে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বকে নানান রকমের সমস্যা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।”
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন