দিনের পর দিন ব্যস্ত সময় পার করে আজ অনেকেই মানসিক চাপ নিয়েই বেঁচে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে মানসিক চাপের সঙ্গে আপস করা শিখে গেলেও শরীর কি তা শিখেছে?
ওয়াশিংটন ডিসি’র বোর্ড স্বীকৃত ত্বক বিশেষজ্ঞ শারলিন সেইন্ট. সুরিন লর্ড’য়ের মতে, “আপনি হয়ত মনে করছেন বেশ তো আছি, কিন্তু আপনার মানসিক চাপের ছাপ বোঝা যায় আপনার চেহারায়।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “কাজের অনেক চাপ, প্রচুর যাতায়াত করতে হয়, মানসিকভাবে পরিবেশটা ভালো না তারপরও জীবনের খাতিরে মানিয়ে নিয়েছেন। তবে শরীর সবসময় ইঙ্গিত দেবে আর তা ফুটে উঠবে আপনার ত্বকে। বিশেষ করে মুখে।”
“আমার অনেক রোগীই বলেন, ‘আমার মনে হয়না আপনি মানসিক চাপে আছি।’ কিন্তু তার জীবনযাত্রা সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে গেলেই বেরিয়ে আসে মানসিক চাপের উৎস।”
ব্যাখ্যা করে ডা. সুরিন বলেন, “হয়ত পারিবারিক কোনো জটিলতা তাদের কুরে খাচ্ছে, কিংবা কর্মক্ষেত্রে তার প্রতি চাহিদার অন্ত নেই, ঠিক মতো ঘুম হয় না। আমি তাদের বলি, আপনি মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আয়ত্ব করেছেন মানসিকভাবে। সেটা ভালো। কিন্তু আপনি যে মানসিক বিপর্যয়ের ভেতর দিয়ে দিন পার করছেন তার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে আপনার ত্বকে।”
“মানসিক চাপ দুটি হরমোনের মাত্রা বাড়ায় শরীরে, অ্যাড্রেনালিন আর কর্টিসল। এদের কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে যাদের ব্রণ, একজিমা, সিরোসিস, ‘সেবোরিক ডার্মাটাইটিস’ আছে তারা মানসিক চাপের শিকার হলে এই সমস্যাগুলোর তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে মারাত্মক হারে। এমনকি আগে ছিল না এমন ত্বকের সমস্যাও দেখা দেওয়া শুরু করতে পারে,” বলেন ডা. সুরিন।
এর চিকিৎসা হল দুই ধাপে বিভক্ত। প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ত্বকের সমস্যা ও উৎস খুঁজে বের করতে হবে। এর ভিত্তিতে শুরু হবে ওষুধের চিকিৎসা।
ত্বক বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নেওয়া উচিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবার উৎস উৎপাটন করতে হবে। মানসিক চাপ কমাতে হবে, যে কারণে মানসিক চাপে ভুগছেন সেটার সমাধান করতে হবে।
শরীরচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব কাজ আপনাকে আনন্দ দেয় সেগুলোতে যোগ দিতে হবে। প্রয়োজনের কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নিজের মতো করে সময় কাটাতে হবে।
আরও পড়ুন