নানান কারণে ত্বকে কালচে ছোপ দেখা দিতে পারে। রোদেপোড়া, অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক এর জন্য দায়ী।
শিবানী’জ অ্যারোমার কর্ণধার শিবানী দে বলেন, “কালো ছোপ ছোপ দাগ ‘পিগমেন্টেইশন’ এবং বাদামি রংয়ের দাগ ‘ফ্র্যাকল্জ’ হিসেবে পরিচিত। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং শীতকালে এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।”
ত্বক ভালো রাখতে তা পরিষ্কার রাখা, সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার এবং আর্দ্রতা রক্ষা করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি রোদ ও চুলার কাছে যাওয়ার সময় সানব্লক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এই রূপ-বিশেষজ্ঞ।
উপকরণ
কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়া, টমেটো, কিশমিশ ভেজানো পানি, কাঠ-বাদামের তেল, কফির গুঁড়া, ল্যাভেন্ডার এনেশল অয়েল এবং অ্যালো ভেরার জেল।
তৈরির পদ্ধতি
এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, পানিতে গোলানো কফির গুঁড়া, কিশিমিশ ভেজানো পানি, একটা টমেটোর রস বা ব্লেন্ড করা টমেটোর শাঁস ভালো মতো মিশিয়ে নিতে হবে।
ঘন একটা মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে এর সঙ্গে এক চা-চামচ অ্যালো ভেরার জেল যোগ করতে হবে।
শুষ্ক ত্বকে পিগমেন্টেইশনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই প্রয়োজনে এর সঙ্গে সামান্য কাঠ-বাদামের তেল যোগ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে এর সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশল তেল যোগ করতে হবে।
এই উপাদানগুলো ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করার পাশাপাশি দাগ ছোপ কমাতে ভালো কাজ করে।
ব্যবহার পদ্ধতি
প্যাকটা প্রথমে ত্বকে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আরও দুতিন বার ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের কালো ছোপ ছোপ ভাব কমবে।
নিয়মিত এক মাস ব্যবহারে ত্বকে পরিবর্তন ভালো মতো বোঝা যাবে।
‘পিগমেন্টেইশন’ দূর করার পরেও যেন তা আর ফিরে না আসে সেজন্য নিয়মিত বাইরে যাওয়ার আগে ও রান্নার সময় সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।
মনে রাখতে হবে
প্যাকটি রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করা যাবে। আর অবশ্যই সাত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
ছবির মডেল: আফসানা মিমি। মেইকআপ: মিমি। ছবি: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন