পুষ্টিকর খাবার সবার জন্যই এক

শিশুদের জন্য আলাদা করে পুষ্টিকর খাবার তৈরির প্রয়োজনীয়তা নেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2022, 05:47 AM
Updated : 16 Jan 2022, 05:47 AM

কারণ শিশু বা বড়দের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্য খাবারের মান একই। যে কারণে ব্যস্ত জীবনে সন্তানের জন্য আলাদা রান্নার ঝামেলা না রাখলেও হয়।

পুষ্টিবিদরা মনের করেন ছোট বড় সকলের জন্যই পুষ্টিকর খাবারের মান এক।

গবেষণা

‘নিউট্রিশন এডুকেশন অ্যান্ড বিহেইভিয়ার’ সাময়িকীতে প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’য়ের প্রকাশিত গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির ‘স্কুল অব হেল্থ প্রফেশন’য়ের বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ পামেলা রথপ্লেজ-পুগলিয়া বলেন, “শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করার তেমন কিছু নেই। পুষ্টিকর খাবার সবার জন্যই এক।”  

এই গবেষণার বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ‘শিশু খাদ্য’ বলতে সাধারণত বয়স দুই থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য তৈরি করা খাবার বোঝায়।

যুক্তরাষ্ট্রে বহুদিন ধরে বিশ্বাস করা হয়, শিশুদের জন্য বড়দের চেয়ে ভিন্ন রকম খাবার প্রয়োজন। আর এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে উচ্চ প্রক্তিয়াজাত, শক্তিদায়ক এবং স্যাচু্রেইটেড চর্বি সমৃদ্ধ খাবার।

এছাড়াও এসব খাবারে সোডিয়াম বা লবণ ও বাড়তি চিনি যোগ করা থাকে।  

ফলাফল

এই ধরনের খাবার খাওয়া শিশুর স্বাদ ও পছন্দের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক শিশুই খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ খুঁতখুঁতে হয়। সব ধরনের খাবার না খাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

গবেষণার এই লেখক পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, বড়দের চেয়ে শিশুর খাবার আলাদা হওয়া প্রয়োজন- এমন ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল নিষিদ্ধকরণ যুগে (১৯২০ থেকে ১৯৩৩ সাল)। পরে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়।

সেই সময় অ্যালকোহল বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়াতে খাদ্যশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ক্ষতি পোষাতে ‘শিশু খাদ্য’ প্রচলন করে।

এরপর থেকে বোঝা গেছে যে, দুই বছরের পর থেকেই শিশুরা বড়দের মতোই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবে। তবে ‘শিশু খাদ্য’ বিষয়টা বেশ সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়েছে।

কারণ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা  গ্রিল করা পনির ইত্যাদি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।

সংক্ষেপে

সামাজিকভাবে খাবার নির্বাচনে পুষ্টি প্রশিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাড়তি প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা পোড়া ইত্যাদি বাদ দিয়ে পুষ্টিকর যে কোনো খাবারই দুই বছরের পর থেকে সকল শিশুর জন্য উপকারী বলে জানান পুষ্টিবিদেরা।

তাই ‘শিশু খাদ্য’ গ্রহণের প্রবণতা এড়াতে পারলে সকল শিশুই পারিবারিক ও সামাজিক সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহন ও সামাজিক অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে উঠতে পারবে।

রথপ্লেটজ মনে করেন, “সমাজ, খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান এবং নীতিমালা সবকিছু একসঙ্গে কাজ করলে এর সমাধান পাওয়া সম্ভব।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন