ভারতের ‘ডিটুসি’ বিউটি এবং পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ‘আর্থ রিদম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা, হরিণী শিবকুমার মনে করেন, ২০২২ সালে ত্বকের যত্নের প্রবণতা ‘লেস ইজ মোর’ বা অল্পই যথেষ্ট- এই পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং ত্বকের যত্নের রুটিনে কোমল উপাদান এবং কম পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।
করোনাভাইরাস মহামারীর আগে মেইকআপ এবং ‘স্কিন কেয়ার’ একই গতিতে চললেও বর্তমানে ‘স্কিন কেয়ার’রের প্রতি সকলের আগ্রহ বেড়েছে। ত্বক সুন্দর হলে বাড়তি মেইকআপ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমে।
তাছাড়া মেইকআপ পণ্যের ব্যবহার কমালে ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতেও ভূমিকা রাখে।
নিজেই নিজের যত্ন নেওয়া
কোভিড-১৯ মহামারী আসার পর থেকে অনেক মানুষই নিজের চুল যত্নের ঘাটতি পড়ায় তা কেটে ছোট করে ফেলেছেন। একই বিষয়ে দেখা গেছে ত্বকের ক্ষেত্রেও।
পার্লারে যাওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। অধিকাংশ মানুষই ঘরেই অ্যালো ভেরার জেল থেকে শুরু করে ডিম পর্যন্ত সব কিছুই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেছেন। আর এগুলো ব্যবহার করা উপকারী।
ঘরে তৈরি করা প্রাকৃতিক উপাদানের মাস্ক ব্যবহার ত্বক ভালো থাকে এবং এতে কোনো রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না।
যথা সম্ভব কম পণ্যের ব্যবহার
‘স্কিন মিনিমাইলিজম’ অথবা যথাসম্ভব ত্বকে কম পণ্যের ব্যবহার বর্তমানে বেশ পছন্দের বিষয় হয়ে উঠেছে। ত্বক ভালো রাখতে ১০টি ভিন্ন পণ্য ব্যবহার না করে যথা সম্ভব কম পণ্য ব্যবহার করে বেশি উপকার পাওয়ার চেষ্টা করা।
কম পণ্যের ব্যবহার ত্বকের স্তর সুরক্ষিত রাখে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নীল আলো থেকে সুরক্ষা
ত্বক ভালো রাখতে নানান প্রসাধনী ব্যবহার করা হলেও ‘স্ক্রিন টাইম’ বাড়ানো হলে অর্থাৎ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দা থেকে নির্গত নীল আলোর সংস্পর্শে বেশিক্ষণ থাকা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
বাজারে নানান ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যাচ্ছে যা নীল আলো থেকে আমাদের ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে এর মধ্যে এসপিএফ অন্যতম।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি নীল আলোর ক্ষতি থেকে বাঁচাতেও এটা কার্যকর।
নীল আলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতার কেড়ে নেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দেখা দেয়। তাই সকলের সচেতন থাকা প্রয়োজন।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন