কালো কফি ও ডার্ক চকলেটের প্রতি ভালোবাসা হয়ত জিনগত

চিনি ছাড়া কফি আর ডার্ক চকলেটের তিতকুটে স্বাদ পছন্দ হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2022, 11:15 AM
Updated : 4 Jan 2022, 11:15 AM

‘নর্দান ইউনিভার্সিটি ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘প্রিভেনটিভ মেডিসিন’ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ‘ক্যাফেইন’ গবেষক মেরিলিন কর্নেলিস সিএনন’য়ের একটি প্রতিবেদনে বলেন বলেন, “যারা ‘ব্ল্যাক কফি’ পছন্দ করেন, তাদের বেশিরভাগই ‘ডার্ক চকলেট’ও পছন্দ করেন বলে দাবি করে গবেষণা।”

“আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তবে অভিনন্দন। জিনগতভাবে এমন একটি বৈশিষ্ট্য আপনি পেয়েছেন যা ভবিষ্যতে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী।”

প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেন, “পরিমিত মাত্রায় ‘ব্ল্যাক কফি’, যা দৈনিক তিন থেকে পাঁচ কাপ, কিছু দূরারোগ্য ব্যধির ঝুঁকি কমায়। এরমধ্যে ‘পারকিনসন’স ডিজিজ’, হৃদরোগ, ‘টাইপ টু ডায়াবেটিস’ এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।”ৎ

তবে কফির সঙ্গে দুধ, চিনি, ক্রিম ইত্যাদি যোগ করলে এই উপকারিতা মেলে না। কারণ একদিকে ‘ব্ল্যাক কফি’তে কোনো ক্যালরি নেই। আর অপরটিতে ক্যালরির মাত্রা হতে পারে কয়েকশ।”

গবেষণায় কর্নেলিস ‍ও তার দল জিনগত একটি ধরন আবিষ্কার করেন যা মানুষকে প্রতিদিন প্রচুর কফি পানের প্রতি আকৃষ্ট করে। ৎ

কর্নেলিস বলেন, “‘ক্যাফেইন’ দ্রুত হজম করতে পারে এমন জিন যাদের আছে, তাদের ওপর কফির প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না। ফলে তারা বেশি কফি পান করেন।”

“কিছু মানুষ প্রচুর কফি পান করতে পারেন, আর কেউ সামান্য পান করেই অস্বস্তি বোধ করেন। এই দুই পরিস্থিতির জন্য মূলত বিশেষ ওই জিনের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিই দায়ী। আর যাদের মধ্যে এই জিন আছে তারাই ‘ব্ল্যাক কফি’, চিনি ছাড়া চা, ‘ডার্ক চকলেট’ ইত্যাদি পছন্দ করেন।” 

কড়া বা তেতো স্বাদের খাবারের সঙ্গে মানসিক অবস্থার সম্পর্ক

কর্নেলিস ও তার দলের গবেষণায় জানা যায়, এই মানুষগুলোর তেতো বা কড়া স্বাদের খাবার ও পানীয় পছন্দ করার সঙ্গে আসলে স্বাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এই স্বাদ তাদেরকে মানসিকভাবে সতর্ক করে তোলে। আর সেই সতর্ক অবস্থার টানেই তারা এই খাবার ও পানীয়ের দিকে ঝোঁক বাড়ায়।

তিনি আরও বলেন, “ডার্ক চকলেট পছন্দ করার পেছনেও একই ব্যাপার রয়েছে। এতেও সামান্য ‘ক্যাফেইন’ থাকে। আর বেশি পরিমাণে থাকে ‘থিওব্রোমাইন’ নামক একটি উপাদান।

এর প্রভাব অনেকটাই ‘ক্যাফেইন’য়ের সমতুল্য। তবে এই চকলেটে ক্যালরি বেশি, তাই খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।

গুণাগুণ সম্পর্কে কর্নেলিস বলেন, “চকলেটের মূল উপাদান কোকোয়া’তে প্রচুর পরিমাণে ‘এপিক্যাটেচিন’, ‘ক্যাটেচিন’ নামক ‘ফ্লাভানয়েড’ এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ থাকে। এগুলো শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। একই উপকার মেলে ‘গ্রিন টি’, ‘ওলং টি’, ‘ব্ল্যাক টি’, ‘কেইল’, পেঁয়াজ, জাম, ‘সিট্রাস’ বা টক ধরনের ফল ও সয়াবিনে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন