রসুন সংরক্ষণের পন্থা

সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে রসুন ছয় মাস পর্যন্ত ভালো রাখা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2021, 08:01 AM
Updated : 29 Dec 2021, 08:01 AM

প্রায় সব রকম রান্নাতেই রসুনের ব্যবহার রয়েছে। তাই নষ্ট হওয়ার আগেই হয়ত রান্নাঘর থেকে এই মসলা ফুরিয়ে যায়।

তারপরও অনেকদিন ঠিক রাখতে হলে আস্ত রসুন না ছিলে, অর্থাৎ দোকান থেকে যেভাবে কিনে আনা হয়, সেভাবেই সাধারণ তাপমাত্রায় শুকনা জায়গায় রাখলে টিকবে অনেকদিন।

এক্ষেত্রে কেনার আগে রসুনের মান যাচাই করে নিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য-বিষয়ক লেখক অ্যানি মারি বনো’র পরমর্শ হল- মোটা, বড় কোঁয়ার আস্ত রসুন কিনতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো ছত্রাকের আক্রমণ না থাকে। তবেই সাধারণভাবে রাখলে রসুন টিকবে ছয় মাস পর্যন্ত।

‘দি জিরো-ওয়েস্ট শেফ: প্ল্যান্ট-ফরওয়ার্ড রেসিপিজ অ্যান্ড টিপস ফর এ সাসটেইনেবল কিচেন অ্যান্ড প্ল্যান্ট’ বইয়ের এই লেখক ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলেন, “রসুন যত ভারী ও মোটা হবে, ততই তাতে পানিভাবের পরিমাণ বেশি হবে। ফলে সেগুলো টাটকাও থাকবে। আর রসুনের মাথা হালকা চাপেও ডেবে যাবে না।”

তবে আস্ত রসুন যেভাবে সংরক্ষণ করা যায়, খোসা ছাড়ানো ও কুচি করা রসুন সেভাবে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে।

আস্ত রসুন সংরক্ষণ

সবচেয়ে ভালো উপায় হল, না ছিলে মাথাসহ আস্ত অবস্থায় কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা।

বনো বলেন, “পাশাপাশি রসুন রাখতে হবে শুকনা জায়গায়। আর আলো, পানি, তাপ ও আর্দ্রতা যেন স্পর্শ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

তাই বলে বদ্ধ অবস্থায় রাখলে হবে না। বাতাস চলাচল করে এরকম জায়গায় ঝুড়িতে রাখতে হবে। সিরামিকের বাটিতে রাখতে পারলে আরও ভালো।

“এভাবে খোসা ও কোয়া না ছাড়ানো অবস্থায় রাখতে পারলে অন্তত ছয় মাস ভালো থাকবে রসুন,” বলেন বনো।

খোসা ছাড়ানো রসুনের কোয়া

অনেকসময় রসুন বেশি ছেলা হয়ে যায়। বাড়তি খোসা ছাড়ানো রসুনের কোয়া সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে হবে কৌটা।

বনোর পরামর্শ হচ্ছে, বাতাস নিরোধক কাচের কৌটাতে রসুনের কোয়া ভরে রাখতে হবে ফ্রিজারে। কাচের বয়ামের ‍সুবিধা হল, কোয়াগুলো ঠিক থাকছে কিনা তা সহজেই বাইরে থেকে বোঝা যাবে। বার বার বয়াম বা কৌটার ঢাকনা খুলতে হবে না।

আর এভাবে রসুনের কোয়াগুলো এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে।

রসুন কুচি

সঠিক স্বাদ ও গন্ধের জন্য কুচি করা রসুন সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বনো। তবে বেঁচে যাওয়া রসুন কুচি কৌটায় ভরে রেফ্রিজারেইটরে রেখে খুব বেশি হলে একদিন পর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

যদিও এক দিনের পুরানো কুচি করা রসুন থেকে টাটকা স্বাদ ও গন্ধটা পাওয়া যাবে না।

তবে তেলের স্পর্শ পেলে সেই কুচি করা রসুন কৌটায় ভরে ফ্রিজারে রাখলেও তেমন কোনো লাভ হবে না। এক্ষেত্রে বিষাক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রসুন কি বরফে জমিয়ে রাখা যায়?

খোসা ছাড়ানো কোয়া ও কুচি করা রসুন ডিপ ফ্রিজে রাখাই যায়। তবে এক্ষেত্রেও টাটকা স্বাদ ও গন্ধটা পাওয়া যাবে না।

ছোট কৌটাতে রসুন কুচি বা কোয়া ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য থাকে বলে জানান বনো।

তিনি পরামর্শ দিতে গিয়ে আরও বলেন, “এক্ষেত্রে তেলের ব্যবহার বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করবে না। কৌটাতে টাটকা রসুন কুচি রেখে উপরে তেল ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে বরফ করার জন্য।”

আর জমাট বাঁধানো রসুন কুচি ব্যবহার করতে হবে সওতে বা রোস্টেড ভেজিটেবল, সুপ কিংবা সস তৈরিতে।

এছাড়া ‘জিপ লক’ প্লাস্টিক প্যাকেটে আস্ত রসুন রেখেও ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন