মেইকআপে ব্র্যান্ড বাছাই করার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক উপাদানের মেইকআপ সামগ্রী বাছাই করা।
ব্রণের দাগ, লালচে ভাব, চোখের চারপাশের কালো দাগ ইত্যাদি হালকা করতে যদি একই কন্সিলার ব্যবহার করা হয় তাহলে তা সঠিক ফলাফল না দেওয়ারই কথা।
বয়স বৃদ্ধি, ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া, অ্যালার্জি, পানি শূন্যতা, রোদের কারণে হওয়া ক্ষতি, ধূমপান, ঘুমের ঘাটতি ইত্যাদি নানান কারণে চোখের চারপাশে দেখা দিতে পারে কালচেভাব।
মেইকআপের মাধ্যমে এই দাগ হালকা করতে সঠিক ফর্মুলা ও শেইডের কন্সিলার বাছাই করা প্রয়োজন।
স্যান ডিয়াগো ভিত্তিক মেইকআপ বিশেষজ্ঞ টেইলর হাপ্ট ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চোখের নিচের কালো দাগ দূর ও চেহারায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে আলাদা আলাদা কন্সিলার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।”
মেইকআপ আর্টিস্টরা মুখের দাগ ছোপ, দুর্বলতার ছাপ এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ত্বকের কাছাকাছি রং ও শেইডের কন্সিলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
হালকা রং ব্যবহার: হাপ্ট বলেন, “চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে তা লুকানোর চেষ্টা না করে বরং তা উজ্জ্বল করার চেষ্টা করা উচিত।”
তিনি চোখের নিচের কালো দাগ হালকা করতে ফাউন্ডেশনের শেইডের তুলনায় দুই শেইড হালকা কন্সিলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এর ফলে চোখের নিচের কালো দাগ ঢেকে যায় এবং তা পুরো মুখের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে থাকে।
উষ্ণ রং ব্যবহার: এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে গায়ের রংয়ের টোনের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
‘আন্ডার আই কন্সিলার’ হিসেবে সোনালি, হলুদ বা পিচ ধর্মী রং বাছাই করতে হবে যা চোখের কালো দাগের বেগুনিভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আর্দ্রতা রক্ষা: হাপ্টের মতে, সঠিক শেইড নির্বাচন করার মতোই সঠিক ফরমূলা নির্বাচন করা জরুরি।
কন্সিলারের ধরন চেহারায় গুরুতর পার্থক্য সৃষ্টি করে। চোখের ত্বকের জন্য হালকা ফর্মুলার এবং আর্দ্রতা রক্ষা করে এমন কন্সিলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
চোখের নিচের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে অনেক নাজুক হওয়ায় কুঁচকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ম্যাট বা সহজে শুকিয়ে যায় এমন কন্সিলার ব্যবহারে চোখের নিচের ভাঁজ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তাই, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং প্রাকৃতিক তেল সমৃদ্ধ কন্সিলার ব্যবহার মেইকআপ সুন্দর রাখার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন