পঞ্চাশের পরে শীতে ত্বকের যত্ন

শীত আর শুষ্কতা যেন হাতে হাত ধরে চলে। আর বয়স বাড়লে ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2021, 01:28 PM
Updated : 20 Dec 2021, 01:28 PM

তাই নিউ ইয়র্ক সিটি’র ‘শেফার ক্লিনিক’য়ের বোর্ড-প্রত্যয়িত কসমেটিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডেন্ডি এঙ্গেলম্যান বলেন, “যে কোনো ত্বক ভালো রাখতে চাই নিয়মিত পরিচর্যা।”

ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা: সব বয়সেই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে আর্দ্রতা রক্ষা করা জরুরি।

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডা. এঙ্গেলম্যান বলেন, “শুষ্ক ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ ফুটে ওঠে। বলিরেখা, ভাঁজ, ঝুলে পড়া এমনকি স্থিতিস্থাপকতার সমস্যাও বেশি দৃশ্যমান হয়।”

তাই বয়স পঞ্চাশের দিকে গেলে ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি।

পঞ্চাশের পরে যে কোনো ক্রিম ব্যবহার না করে ঘন এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান যেমন- হায়ালুরনিক অ্যাসিড, সেরামাইড, পেপ্টাইড ও স্কোয়ালেন সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা উপকারী বলে জানান, ডা. এঙ্গেলম্যান।

রেটিনল ব্যবহার: ত্বকের বয়সের ছাপ, বলিরেখা দূর করতে ডা. এঙ্গেলম্যান অ্যান্টি এইজিং উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকতে এর কোলাজেন, ইলাস্টিন ও ভিটামিন এ’য়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা ত্বকের নমনীয়তা, কোমল ও মসৃণভাব ধরে রাখে।

এসবের অভাবে ত্বক ঝুলে যাওয়া, সূক্ষ্ম ভাঁজ ও বয়সের অন্যান্য ছাপ ফুটে ওঠে। তাই ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে রেটিনল কেবল বয়স্কদের নয় বরং বয়স বিশ ছাড়ানোর পর থেকেই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডা. এঙ্গেলম্যান।

রেটিনয়িক অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে যা উন্মুক্ত রেডিকেলের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।

তাই ডা. এঙ্গেলম্যান তার পরিপক্ক ত্বকের অধিকারী রোগীদের ত্বকের যত্নে রেটিনল ব্যবহারের পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন।

সঠিক উপায়ে ত্বকের যত্নে এর ব্যবহার ত্বকের সুরক্ষার স্তর দৃঢ় করে, কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায় এবং কোষের পুর্নগঠন ও অন্যান্য নানামুখী উপকার করে।  

রেটিনল ব্যবহারে অনেকের ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বলুনি দেখা দিতে পারে। তাই যতটা সম্ভব আরামদায়ক রেটিনল ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।

টোনিং ডিভাইস ব্যবহার: প্রযুক্তির মাধ্যমেও ঘরে বসে ত্বক মসৃণ, দৃঢ়, আরও তারুণ্যময় করা যায়।

‘স্কিন-টোনিং ডিভাইস’ ব্যবহার করা বার্ধক্যের দৃশ্যমান লক্ষণগুলোকে কমায় এবং ত্বকে একটি তারুণ্যের টানটান এবং উজ্জ্বলভাব যোগ করতে কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করে,” বলেন ডা. এঙ্গেলম্যান৷

এসপিএফ ব্যবহার: ত্বক ভালো রাখতে যে কোনো বয়সের যে কোনো মানুষকেই সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শীতকালে ত্বকে গরম কম লাগলেও সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করে এর ক্ষতি করে।

তাছাড়া বৈদ্যুতিক পর্দার নীল আলো, দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষতকারক বাহ্যিক বিষয়গুলো সংবেদনশীলতার সৃষ্টি করে ও বয়সের ছাপকে স্পষ্ট করে তুলতে অবদান রাখে।

তাই নিয়মিত সানব্লক ব্যবহার করা জরুরি।

‘কেমিক্যাল পিল’ ব্যবহার: সবশেষে, ডা. এঙ্গেলম্যান এক্সফোলিয়েশনের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

“আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ত্বকের কার্যকারিতা ধীর হয়ে যায়। যেমন- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদন, কোষের পুনর্গঠন এবং আরও অনেক কিছু।”

রাসায়নিক পিলিং দৃশ্যমান লক্ষণগুলোকে কমায় এবং ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং অবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করে। আর এটা ব্যবহার করতে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন