‘প্যানিক অ্যাটাক’ নিয়ন্ত্রণের কৌশল

আতঙ্কিত হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো হঠাৎ করেই ঘটতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2021, 07:17 AM
Updated : 14 Dec 2021, 07:17 AM

নিজের অভিজ্ঞতা না হলে ‘প্যানিক অ্যাটাক’ কী বা এর ফলে কেমন আতঙ্ক অনুভূত হয় তা বোঝা সম্ভব নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি’র মনোবিজ্ঞানী ডা. ড্যানিয়েল ফোরশি এটিকে বর্ণনা করেছেন, “তীব্র ভয় বা অস্বস্তির আকস্মিক ঢেউ হিসেবে, যা মিনিটের মধ্যে চরমে পৌঁছে যায়। ফলে হৃদগতির বৃদ্ধি, ঘাম, ধরফর ভাব, বুকে ব্যথা, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, হাত বা পায়ে অসারতা ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেখা দিতে পারে।”

‘ডায়াফ্রাগমেটিক’ বা ছন্দাকারে শ্বাস নেওয়া

ডা. ফোরশি পিওর ওয়াও ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেনে বলেন, “প্যানিক অ্যাটাক’ শারীরবৃত্তীয় সমস্যার সৃষ্টি করে। কারণ এই সময় মস্তিষ্ক বিশ্বাস করে যে তার সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে (যেমন যুদ্ধ বা ফ্লাইট মোডে)।”

“তাই, প্যানিক অ্যাটাক দেখা দিলে সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলোর মধ্যে একটি হল ‘ডায়াফ্রাগমেটিক’ বা ছন্দাকারে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। কারণ এই সময়ে দেহ টানটান হয়ে পড়ে এবং বুক থেকে ছোট ছোট ও ঘন শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় যা মস্তিষ্কে যন্ত্রণা ও অস্বস্তির সংকেত পাঠায়।”

তাই এই সময়ে ছন্দাকারে শ্বাস নেওয়া দেহকে আরাম অনুভূত করায় এবং মস্তিষ্কে নিরাপদে আছে এমন সংকেত পাঠায়।

চিন্তায় পরিবর্তন আনা

ডা. ফোরশির মতে, “কেউ যখন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন তখন তাদের মন বলে যে তারা কোনো কিছুর প্রতি ভীত।”

এই চিন্তাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং এর বিপরীত চিন্তা করা নিজের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। তাই কোনো খারাপ সময়ে ‘এমনটা হলে কতটা খারাপ হবে’ চিন্তা না করে বরং ‘এমন খারাপটা না হলে কেমন হবে’ তা ভাবা মস্তিষ্ক ও মন দুইয়ের জন্যই উপকারী।

এড়িয়ে চলার মতো আচরণ থেকে বিরত থাকুন

ডা. ফোরশি বলেন, “অনেকেই প্যানিক অ্যাটাক হলে বাইরের পরিবেশ, মানুষ, জায়গা বা কাজ থেকে দূরে থাকেন।”

যেমন- কোনো রেস্তোরাঁয় গেলে বা গাড়ি চালানোর সময় ‘প্যানিক অ্যাটাক’ দেখা দিলে সম্পূর্ণভাবে সেই কাজ বা সেই রেস্তোরাঁ এড়িয়ে চলেন।

ব্যাখ্যা করে এই মনোবিজ্ঞানি বলেন, “প্যানিক অ্যাটাক’য়ের সম্মুখীন হলে মস্তিষ্ক আপনার ক্ষমতার ওপর আস্থা এবং দক্ষতা অর্জনের জন্য যা প্রয়োজন তার ঠিক বিপরীত আচরণ করে। বা ‘এড়িয়ে চলার আচরণ’ শুরু করে।”

এমন আচরণ ভয়কে আরও স্থায়ী করে এবং মস্তিষ্কে চাপ বাড়ায়।

তাই ধীরে ধীরে এমন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা ভীতি কমায় ও মস্তিষ্ককে স্বস্তি দেয়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন