পানির ফিল্টারের খোঁজখবর

পানি ফোটানোর মাধ্যমে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশাক্ষামুক্ত থাকতে ফিল্টার ব্যবহার করা উচিত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2021, 09:24 AM
Updated : 13 Dec 2021, 09:24 AM

আবার যেসব বাসায় গ্যাসের সংকট রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিল্টারে পানি বিশুদ্ধ করাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’য়ের পক্ষ থেকে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের মিরাজ অ্যান্ড ব্রাদার্স’য়ের অন্যতম কর্ণধার শেখ মোহাম্মদ মিরাজ হোসেনের সঙ্গে আলাপ করা হয় বিভিন্ন ধরনের পানির ফিল্টার সম্পর্কে।

তিনি বলেন, “বাজারে আজকাল নানান ধরনের ফিল্টার পাওয়া যায়। সিরামিক ফিল্টার, ‘ইউভি’, ‘ইউএফ’, ‘রিভার্স অসমোসিস (আরও)’ ফিল্টার। কিছু ফিল্টারে আবার পানি গরম ও ঠাণ্ডা করার সুবিধাও থাকে।”

‘রিভার্স অসমোসিস’ ধরনের ফিল্টার বাসার প্রধান পানির লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরাসরি পানি পানের যোগ্য করে তুলতে পারে। এই ধরনের ফিল্টারের মধ্যে বাজারে সবার ওপরে রয়েছে ‘পিউর ইট’।

এর চাইতে দামি বা ভালো ফিল্টার যে নেই তা নয়। তবে সেগুলোর ‘আফটার সেল সার্ভিস’ ভালো না।

যেমন কোনো পার্টস নষ্ট হলে তা বাজারে পাওয়া যায়না, ‘ক্লিনিং কিট’ খুঁজে পেতে সমস্যা নয়। নষ্ট হলে ঠিক করার লোক পাওয়া যায় না ইত্যাদি নানান সমস্যা।

সচরাচর যে ব্রান্ডগুলো চোখে পড়বে সেগুলোর মধ্যে আছে কেন্ট, হিরন, ল্যান শান, ডেঙ্গ ইউয়ান ইত্যাদি।

ফিল্টারগুলোর দাম নির্ভর করে এর ধারণ ক্ষমতা, কয় ধাপে পানি তাতে বিশুদ্ধ হয়, পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ের ওপর।

মিরাজ বলেন, “বিশুদ্ধকরণ ধাপ হয় তিন থেকে সাত ধাপ বা তারও বেশি। যেমন- পিউর ইট আলটিমা পানি বিশুদ্ধ করে সাতটি ধাপে।”

“সাধারণ নন-ব্র্যান্ড ফিল্টার যে একেবারে ফেলনা তা কিন্তু নয়। ছোট পরিবারে জন্য এগুলো যথেষ্ট।”

দাম সম্পর্কে ধারানা দিতে গিয়ে মিরাজ জানান, ৮ থেকে ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফিল্টার পাওয়া যাবে ১২শ’ টাকার মধ্যে।

১৮ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফিল্টারগুলো ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। ২৮ লিটার আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।

৩৫ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফিল্টার পাওয়া যাবে আড়াই হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায়।

ফিল্টার কিনতে হলে যেতে হবে ঢাকার নিউ মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা, গুলিস্তান অথবা বড় কোনো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।

ফিল্টারের ব্যবহৃত কর্ক, সিরামিক, কার্ট্রসি ও মিনারেল স্টোন পাওয়া যাবে ১শ’ থেকে ৬শ’ টাকার মধ্যে।”

অন্যদিকে ব্র্যান্ডের পানির ফিল্টারের আবার ‘ক্লিনিং কিট’ পরিবর্তন করতে হয়ে। ফিল্টার ভেদে বিভিন্ন মাত্রায় পানি বিশুদ্ধ করার পর ওই ‘ক্লিনিং কিট’ তার কার্যকারিতা হারায় এবং তা বদলাতে হয়।

যেমন- পিউর ইট’য়ের ‘ক্লিনিং কিট’টিকে প্রতিষ্ঠান বলে ‘জার্মকিল কিট’। যা কিনতে খরচ হবে ১ হাজার ৪শ’ টাকা।

বছরে অন্তত দুবার তা বদলাতে হবে। মাইক্রো ফাইবার ছাঁকনিটিও কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করতে হয়, দাম ২৫০ টাকা। তাই ভালো ফিল্টারের খরচও বেশি।

ফিল্টার ব্যবহারে সাবধানতা সম্পর্কে মিরাজ বলেন, “বৈদ্যুতিক ফিল্টার যে ব্র্যান্ডেরই হোক না কেনো আমরা ক্রেতার বাসায় বসিয়ে দেই, অবশ্যই মজুরির বিনিময়ে। পরে কোনো সমস্যা হলে আমাদের ফোন করলে মিস্ত্রিও পাঠিয়ে দেই।”

ফিল্টারের ভেতর কখনই সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া যাবে না। তবে বাইরের অংশ সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া যাবে।

ফিল্টারে কখনও গরম পানি ঢালা যাবে না। ইলেকট্রনিক ফিল্টার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন