যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের মতো, “শরীরের সুস্থতার জন্য প্রতিনিয়ত অসংখ্য কাজের দায়িত্ব থাকে যকৃতের ওপর। এরমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল খাবার বিপাকের মাধ্যমে তাতে থাকা পুষ্টি উপাদান বের করে আনা, রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ করা, স্বাভাবিক মাত্রায় রক্ত জমাট বাঁধানো এবং পুরনো রক্তকণিকা অপসারণ।”
এ থেকেই বোঝাই যায় যকৃতের খেয়াল রাখাটা অত্যান্ত জরুরি।
আশার কথা হলো যকৃতের জন্য উপকারী পানীয়টা ইতোমধ্যেই অসংখ্য মানুষের প্রিয় পানীয়ের মধ্যে একটি।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সনদস্বীকৃত পুষ্টিবিদ কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলো জানান, “সেই পানীয়টি হল কফি।”
কফি আর যকৃতের সম্পর্ক
ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডি’অ্যাঞ্জেলো বলেন, “দিনের শুরুতে এক কাপ কফি শুধু সুস্বাদুই নয়, তা যকৃতের সুস্বাস্থ্যের জন্য একাধিক দিক থেকে উপকারী। একাধিক গবেষণা দাবি করে যে কফি ‘সিরোসিস’য়ের ঝুঁকি কমায় এবং ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’য়ের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।”
‘সিরোসিস’ যকৃতের একটা মারাত্মক রোগ যেখানে যকৃতের স্বাস্থ্যবান ‘টিস্যু’য়ের জায়গা দখল করে নেয় ‘স্কার’ বা ক্ষতিগ্রস্ত ‘টিস্যু’।
আর ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’য়ের ক্ষেত্রে যকৃতের ভেতরে ও বাইরে চর্বি ও ‘কোলাজেন’য়ের বড় আকারের আস্তর তৈরি হয়।
যকৃতের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কফি কীভাবে উপকার করে সে বিষয়ে ডি’অ্যাঞ্জেলো বলেন, “যকৃতে জমে থাকা চর্বি ঝরাতে কার্যকর কফি। আবার যকৃতে সুরক্ষা প্রদানকারী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’য়ের মাত্রাও বাড়াতে পারে এই পানীয়, যা মুক্ত মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব কমায়।”
‘নিউট্রিয়েন্টস’ শীর্ষক এক সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিক এক গবেষণা অনুযায়ী, যকৃতের ‘টিস্যু’ আঁচড় বা ‘স্কার’ সৃষ্টি হওয়ার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে কফি। যা পক্ষান্তরে ‘সিরোসিস’ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা কমাবে।”
যে ধরনের কফি উপকারী
কফি থেকে যকৃতের সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে হলে পান করতে হবে কালো অর্থাৎ ব্ল্যাক কফি।
সেটা যদি পছন্দ না হলে চিনি, দুধ, ক্রিম যোগ করতে পারেন। তবে পরিমাণ হতে হবে সিমিত।
আরও পড়ুন