টাইমস অব ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘স্কিন ল্যাব’য়ের চিকিৎসক ডা. যমুনা পাই শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখার সম্পর্কে বলেন, “ত্বকের যত্নে রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যেমন- বাটার, জলপাইয়ের তেল, নারিকেল তেল এবং মধু ব্যবহার করা ভালো।”
এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি কৌশল সম্পর্কে জানান।
* শুষ্কতা বাড়ায় এমন প্রসাধনী, ম্যাট লিপস্টিক, পাউডার ব্লাশ ইত্যাদি ব্যবহার না করা।
* মেইকআপের ক্ষেত্রে রঙিন লিপবাম এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ভালো। এছাড়াও ক্রিম ব্লাশ এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী মিস্ট ব্যবহার ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
* ঘরে তৈরি টোনার ও স্ক্রাব ব্যবহার করা উপকারী। শুষ্ক ত্বকে কয়েক ফোঁটা লেবু, গুঁড়া দুধ এবং গ্লিসারিন ব্যবহার করা সুফল দেয়। এই মাস্ক সপ্তাহে দুএকবার ব্যবহারে ত্বকে উজ্জ্বল ও মসৃণভাব ফুটে ওঠে।
* অ্যালো ভেরার জেল শুষ্ক ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে এবং বাইরের অবস্থা থেকে সুরক্ষিত রাখে।
* এসব প্রসাধনীর পাশাপাশি মুখে খাওয়ার ‘সাপ্লিমেন্ট’ ত্বকের শুষ্কতা কমায়। কোলাজেন, সোডিয়াম হাইয়ালুরনেট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যেমন: কো-এনজাইম কিউ ১০, বেটা ক্যারোটিন অ্যাস্টাক্সানথিন, গ্লুটাথিয়ন, জিংক এবং সেলেনিয়াম ইত্যাদি ব্যবহার করা উপকারী।
মুখের সাপলিমেন্ট হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যটি অ্যাসিড যেমন- তিসির বীজের ক্যাপসুল, প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল, কড লিভার তেলের ক্যাপসুল এবং ওমেগা ৩, ৬, ৯ ইত্যাদি খাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন