কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে।
আর চিকিৎসকরা সাধারণত এই ক্ষেত্রে বীজ ও বাদাম ধরনের খাবার, ফল সবজি এবং অপরিশোধীত শষ্য-জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অপরিশোধীত শষ্য বা হোল গ্রেইনের মধ্যে ওটস অন্যতম। গবেষণা বলে এটা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল’য়ের মাত্রা কমাতে সক্ষম।
‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ বইয়ের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ডা. লিসা ইয়ং বলেন, “গোটা ওটসে থাকে দ্রবণীয় আঁশ যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। স্টিল-কাট ওটসে থাকা দ্রবণীয় আঁশ একই ভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।”
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে ২০১৫ সালের করা এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে, ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এলডিএল কোলেস্টেরল সংখ্যা কমানোর জন্য গোটা শস্য সুপরিচিত।
গোটা শস্য কীভাবে কাজ করে এবং হজমে সহায়তা করে সে সম্পর্কে হার্ভার্ড হেল্থ নির্দেশিকা দেয়। জানা যায়, গোটা শস্য খাওয়া কলেস্টেরলের মাত্রা গড়ে ৬.৫ পয়েন্ট কমাতে সক্ষম।
যদিও বাজারে ‘রোল কাট’ ওটসের চাহিদা ও যোগান দুটোই বেশি। তবে উপকারের বিবেচনায় স্টিল কাট ওটস এগিয়ে।
কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি ধমনীতে চাপ সৃষ্টি করে ও হৃদঝুঁকি বাড়ায়। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে স্টিল কাট ওটস খাওয়া উপকারী।
স্টিল কাট ওটস তৈরীর উপায়
এগুলো প্রাকৃতিক ওটসের খাঁটি রূপ, তাই রান্না হতে কিছুটা সময় নেয়।
ইয়ং বলেন “সকালে স্টিল কাট ওটস খাওয়া দ্রবণীয় আঁশ সরবারহ করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।”
তিনি পরামর্শ দিতে গিয়ে আরও বলেন, “আমি স্টিল কাট ওটস বা ‘আইরিশ ওটস’ পানিতে মিশিয়ে বা মিষ্টি ছাড়া ভ্যানিলার ঘ্রাণযুক্ত দুধের সঙ্গে খেতে পছন্দ করি। এতে আমি রান্না সময় কয়েক টুকরা আপেল যোগ করি, স্বাদে পরিবর্তন আসে। এই সবগুলোই উচ্চ আঁশ জাতীয় এবং হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।”
স্টিল কাট ওটস রান্না করতে এক ভাগ ওটস ও তিন ভাগ পানি যোগ করে ফোটাতে হবে। কেউ চাইলে এতে ভেষজ দুধ যোগ করতে পারে।
২০ থেকে ৩০ মিনিট রান্না করলেই তা নরম ও খাওয়া উপোযোগী হবে। অনেকে সারা রাত স্টিল কাট ওটস ভিজিয়ে রেখে পরদিন রান্না করেন। এতে রান্নায় সময় কম লাগে।
রান্নার সময় ওটসের জেল ধর্মী উপাদানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এটা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন