যকৃতের জন্য ক্ষতিকর পানীয়

অ্যালকোহল ছাড়াও নানান রকমের মিষ্টি-পানীয় যকৃতের ক্ষতি করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2021, 09:02 AM
Updated : 17 Nov 2021, 09:02 AM

লিভার বা যকৃতের ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রথমেই মাথায় আসে অ্যালকোহলের কথা। তবে গবেষকরা বলছেন, অ্যালকোহল ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টি-পানীয় যকৃতের ক্ষতি করতে পারে।

‘দা ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি’

১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন অঞ্চলে ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি শুরু হয়। এটা একটা চলমান সমীক্ষা যা জনস্বাস্থ্যের পছন্দ (ধূমপান ও খাদ্য), জীবনযাত্রা এবং দীর্ঘায়ুর ওপর করা হচ্ছে।

‘বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য গবেষকরা ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডির বর্তমান পর্যায়ের ওপর ভিত্তি করে ‘ক্লিনিকাল গ্যাস্ট্রোন্টেরোলজি এবং হেপাটোলজি’ সাময়িকীতে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেন।

এই গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য গবেষকরা ‘এফএইচএস থার্ড জেনারেশন অ্যান্ড অফস্প্রিং কোহর্টস’য়ের অংশগ্রহণকারীদের ওপর সম্ভাব্য পর্যবেক্ষণমূলক সমীক্ষা চালান। এই নমুনা পরীক্ষা ২০০২ সাল থেকে করা হচ্ছে।

গবেষণার বরাত দিয়ে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, এখানে মূল অধ্যয়নের ১,৬৩৬ জন পূর্বপুরুষদের দিকে নজর দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৬৩ যেখানে তৃতীয় প্রজন্মের গড় বয়স ছিল ৪৮ বছর। এবং এই সেটের ৫২ শতাংশ ছিল মহিলা।   

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ

অংশগ্রহণকারীরা ঘন ঘন চিনি ও মিষ্টিযুক্ত পানীয় বা সোডা পান করার কথা বলেন এবং গবেষকরা ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’য়ের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে এই প্রতিবেদনগুলো বিবেচনা করেন।

“এক্ষেত্রে যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়”- বলে জানা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেল্থ’ (এনআইএইচ) এর কাছে।

মায়ো ক্লিনিক অনুযায়ী ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিককে প্রভাবিত করে।

এনআইএইচ জানায়, ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ না হলেও, এটি যকৃতের আকৃতি বাড়ায় ফলে ব্যথা হতে পারে।

যকৃতের ওপর চিনি-জাতীয় পানীয়র প্রভাব

‘ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি’র এই অংশ অনুসারে, চিনি ও মিষ্টি পানীয় বাদ দিয়ে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার’ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

কারণ গবেষকরা জানান, ঘন ঘন চিনি-জাতীয় পানীয় গ্রহণ এই রোগের ঝুঁকি দুই থেকে আড়াই গুণ বাড়িয়ে দেয়।

গবেষকরা আরও জানায়, যারা একেবারেই গ্রহণ করে না তাদের তুলনায় যারা মাঝেমধ্যে চিনি-জাতীয় পানীয় গ্রহণ করেন (সপ্তাহে একবার থেকে মাসে একবার) তাদের আরও প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হতে পারে।

আরও পড়ুন