পেশিবহুল দেহ চাইলে কার্বোহাইড্রেইট অপরিহার্য

ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেইট বাদ দিতে বললেও পেশি গঠনে প্রয়োজনীয় কার্ব গ্রহণ করতে হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2021, 06:35 AM
Updated : 4 Nov 2021, 06:35 AM

আর এই তথ্য জানিয়েছেন ‘থর’ খ্যাত নায়ক ক্রিস হেম্সওর্থের শেফ ড্যান চার্চিল।

তার মতে, মানুষের কার্বোহাইড্রেইট’কে ভয় পাওয়া বন্ধ করা উচিত। কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার আঁশ, ভিটামিন এবং প্রোটিনের খুব ভালো উৎস যা সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক।  

ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই পাচক আরও জানান, হেম্সওর্থ পেশি গঠনে দৈনিক ৩০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করেন।

‘হেম্সওর্থ হেল্থ অ্যাপ সেন্টার’য়ের এই রন্ধনশিল্পী ও পুষ্টিবিদ আরও বলেন, “অভিনেতা ক্রিস হেম্সওর্থ মার্ভেলের ‘থর’ সিনেমা শুটিংয়ের জন্য পেশি গঠনে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করেছিলেন। তাই পেশি গঠন করতে যেয়ে কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণে লজ্জা পেলে চলবে না।”

“কার্বোহাইড্রেট আমাদের জন্য উপকারী। পাস্তা, শস্য ইত্যাদি খেতে ভয় পেলে চলবে না।”

চার্চিল এতে আরও পুষ্টি উপাদান যোগ করার পরামর্শ দেন। কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ মটর ও শস্য খাবারে যোগ করা পেশি গঠনে সহায়তা করে।

খাবার তালিকা থেকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেইট বাদ দেওয়া প্রয়োজনীয় পুষ্টি ঘাটতির কারণ হতে পারে। যদিও অধিকাংশ মানুষ কার্বোহাইড্রেইট বলতে ফোলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- রুটি, পাস্তা এবং চিনিকে বুঝে থাকেন।

তবে কার্বোহাইড্রেইটের মধ্যে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং শিমও অন্তর্ভুক্ত।

এসব খাবার বাদ দেওয়া বা কিটো ডায়েট করা দেহে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতির কারণ হতে পারে বলে জানান চার্চিল। 

কম কার্বোহাইড্রেইটের কারণে দেহে আঁশের অভাব সৃষ্টি করে। ফলে হজমের গোলোযোগ ও পুষ্টির ঘাটতির অন্যতম কারণ হতে পারে।

চার্চিলের মতে, “কার্বোহাইড্রেইট না খাওয়া খাদ্যাশের ঘাটতি তৈরি করে।”

কম কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ বা কিটো ডায়েট ওজন কমাতে সহায়তা করলেও দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কার্বোহাইড্রেইট পেশি গঠনে সাহায্য করে

চার্চিলের পরামর্শ, “সুস্থ থাকতে উদ্ভিজ্জ খাবার বিশেষত সবজি থেকে কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।”

ভারী খাবার যেমন- ডাল ও মটর-ধরনের খাবার গ্রহণের পরামর্শ তিনি। এগুলোতে আঁশের পাশাপাশি প্রোটিনও থাকে।

প্রমাণ পাওয়া গেছে, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেইটের মিশ্রণ পেশি গঠন করে সহায়তা করে। 

পুষ্টিবিদেরা শরীরচর্চা করার আগে কার্বোহাইড্রেইট এবং পরে প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেন। এতে করে প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায়।

শরীরচর্চার পরে প্রতি গ্রাম প্রোটিনের বিপরীতে দুই গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট খাওয়া উপকারী বলে মনে করেন তারা। 

চার্চিল বলেন, “যারা পেশি গঠন করতে চাচ্ছেন তাদের কার্বোহাইড্রেইটের যোগান থেকে দৈনিক  অন্তত ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে।

“অথবা ২০০০ ক্যালরির খাদ্য-পরিকল্পনার মধ্যে ২৫০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট খাওয়া উচিত।”

হেম্সওর্থের বহু দিনের ব্যায়াম প্রশিক্ষক ও বন্ধু লিউক জক্কি বলেন, “তিনি পেশি গঠনের জন্য উচ্চ প্রোটিনের ডায়েট অনুসরণ করেছিলেন। আর দৈনিক গ্রহণ করতেন এক তৃতীয়াংশ ক্যালোরি যা প্রায় ৩৩০ গ্রাম।”

পেশি গঠনের সময় ভাত, কলা এবং মিষ্টি আলুর পাশাপাশি ব্রকলির মতো সবজি নিয়মিত খেতেন বলে জানান জক্কি।

আরও পড়ুন