হরমোনে গড়মিল বাঁধাতে পারে যেসব খাবার

হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2021, 05:38 AM
Updated : 1 Nov 2021, 05:38 AM

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেহের সকল প্রক্রিয়ায়র ওপর প্রভাব রাখে। তাই সুস্থ থাকতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ‘টইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানানো হল যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য দায়ী হতে পারে।

রেড মিট: গরু, খাসী ইত্যাদির মাংসে থাকা স্যাচুরেটেড এবং হাইড্রোজিনেটেড চর্বি অস্বাস্থ্যকর, যা এড়িয়ে চলাই উপকারী।

অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়া দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। তাই রেড মিটের বদলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ বা ডিম অথবা চর্বিহীন প্রোটিন খাওয়া উপকারী।

ক্রুসাফেরস সবজি: সবজি উপকারী। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। ক্রুসাফেরস সবজি যেমন- ফুল কপি, ব্রকলি; এই ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া প্রদাহ বাড়ায়।

তাছাড়া এসব সবজি অতিরিক্ত খাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রভাব রাখে। যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার সহজলভ্য হলেও এগুলো খাওয়া হরমোনে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

এসব খাবারে চিনি, লবণ, প্রিজারভেটিভ সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। যা খাওয়া দেহের প্রদাহ, মানসিক চাপ এমনকি স্থূলতার ঝুঁকিও বাড়ায়।

ক্যাফেইন: অতিরিক্ত ক্যাফেইন ধরনের খাবার ঘুমচক্রের ওপরে প্রভাব ফেলে। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ দেহের কর্টিসোলের মাত্রা বাড়ায় এবং যা মানসিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। আর হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

দুধের তৈরি খাবার: দুধের তৈরি খাবার পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তবে তা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় প্রভাব ফেলে।

অতিরিক্ত দুধের তৈরি খাবার অন্ত্রের প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় প্রভাব রাখে। এমনকি অতিরিক্ত দুধ খাওয়াও দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড ও শর্করার মাত্রা বাড়ায়।

মিষ্টি, ক্যান্ডি:  অতিরিক্ত ক্যান্ডি বা শর্করা-জাতীয় চকোলেট এবং মিঠাই রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। নিয়মিত বাড়তি শর্করা গ্রহণে লেপ্টিন এবং ঘ্রেলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। এই দুই হরমোনই ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত এবং দেহের হরমোনের ভারসাম্যতায় প্রভাব রাখে।

সয়া দিয়ে তৈরি খাবার: সয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত সয়ার তৈরি খাবার হরমোনে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

এতে আছে বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যা ফাইটোইস্ট্রোজেন নামে পরিচিত। এটা দেহের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

আরও পড়ুন