দাবি করা হয়, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
আগের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে বা খাওয়ার সময় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পান করা রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে পারে এবং খাওয়ার পরে গ্লুকোজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গন হেল্থ’য়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ডেনিস গুডম্যানের মতে, এর কারণ হতে পারে, ভিনিগার খেলে পেট দেরিতে খালি হয় এবং শরীর রক্তের গ্লুকোজকে ভালোভাবে বিপাক করতে পারে।
প্রিভেনশন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এটা টাইপ ২ ডায়াবেটিমে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী। তবে পরিমিত পান করা সবার জন্যই ভালো।”
এটা উপকারী তবে তা ওষুধ বা ডাক্তারের বিকল্প নয়। এর প্রভাব গাঁজনোর ফলে হওয়া অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত বলে জানান ‘অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি’র কলেজ অফ হেল্থ সলিউশন্স’য়ের ডা. ক্যারল জনস্টন।
তিনি আরও বলেন, “সব ভিনিগারেই এই উপাদান আছে বলে তা উপকারী। তবে খাবার জন্য এক থেকে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পানির সঙ্গে পান করার পরামর্শ দেই আমি।”
ওজন কমাতে
বলা হয় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার পেট ভরা রেখে খাবারের চাহিদা কমায়।
ডা. জনস্টন বলেন, “ওজন কমানোর জন্য অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বৈজ্ঞানিকভাবে কিছুটা প্রমাণ রাখে। ‘জার্নাল অফ ফাংশনাল ফুডস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ২০১৮ সালে ৩৯ জনের ওপর করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধু ক্যালরি কমানোর চেয়ে পেট ভরে খাওয়ার সময় ২৫০ ক্যালরি দিনে কম গ্রহণ করতে পারলে ওজন কমানো বেশি কার্যকর হয়।”
ইরানের ‘শহিদ বেহেস্তি ইউনিভার্সিটি’র করা এই গবেষণায় আরও বলা হয়, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে।”
অন্যান্য গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ভিনিগার গ্রহণের পরে পেট ভরা অনুভূত হয়।
ডা. গুডম্যান বলেন, “এটি সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে আছে প্রোবায়োটিকের ক্ষমতা এবং উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে রূপান্তরিত করে না।”
তার মতে, ওজন কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চা করা বেশি কার্যকর।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
বলা হয়, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার উচ্চ রক্তচাপের পেছনে কাজ করা এনজাইমগুলোকে পরিবর্তন করে।
তবে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার রক্তচাপ কমায় এমন কোনো ক্লিনিক্যাল প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডা. গুডম্যান এবং ডা. জনস্টনের মতে, পরিমিত পরিমাণে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গ্রহণ করা ভালো।
অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে আরও খারাপ করতে পারে বলে জানান ডা. গুডম্যান।
কিন্তু রক্তচাপ কমাতে, ‘ড্যাশ ডায়েট’ অনুসরণ করা, বাড়তি শরীরচর্চা করা ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন