“সন্তান জন্মদানের পরবর্তি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্য আবার চুল গজানো শুরু করে। আর অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রেই এমন হয়,” বলেন এফএএডি বোর্ড প্রত্যয়িত ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. সতীশ ভাটিয়া।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “অনেকের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও ঘটে। ফলে অনেকের চোখের নিচে কালচেভাব, ব্রণ, ছোপ ছোপ দাগ এমনকি অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।”
গর্ভাবস্থায় ও পরে চুল পড়া কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
- গর্ভাবস্থায় চুল পড়া প্রবণতা বাড়ে এবং বৃদ্ধি ধীর হয়।
- হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও কোঁকড়া হয়ে যায়। সন্তান জন্মানোর পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর চুলের সাধারণ চক্র ফিরে আসে।
- অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করা চুলকে পাতলা ও চিমসে করে তোলে। তাছাড়া এক্ষেত্রে লিভ ইন কন্ডিশনার এড়িয়ে চলা উচিত। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- রুক্ষ চুলের যত্নে ‘অ্যান্টি ফ্রিজ’ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উপকারী। অরিতিক্ত ‘ব্লো ড্রাই’ বাদ দেওয়া, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়া এবং পর্যাপ্ত ফলমূল, প্রোটিন ও শুকনা খাবার খাওয়া উপকারী।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
খাবারে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করা চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি, আপেল্ রাজমা ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার রাখা
মৃদু ‘অ্যান্টি হেয়ার লস’ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। আগা ফাঁটা কমাতে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এসব কিছুর জন্য যদি সময় কম থাকে তাহলে লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
শক্ত করে চুল না বাঁধা
খুব বেশি শক্ত করে চুল বাঁধা মাথার ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। এতে সহজেই গোড়া নরম হয় এবং চুল পড়ে যায়।
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট
সন্তান জন্মদানের পরে শক্তি বাড়াতে ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উপকারী। নিয়মিত খাবারে ভিটামিন বি এবং সি গ্রহণ করা চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।
রাসায়নিক পরিচর্যা
চুলে রং করা, ‘স্ট্রেইট’ এবং ‘পার্ম’ বা ঢেউ তোলা স্টাইল করলে চুল পড়তে পারে বেশি। তাই চুল পড়া কমাতে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এসব কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও তাপীয় পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো।
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন