সংবেদনশীল ত্বকে চাইলেই যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় না।
Published : 14 Oct 2021, 03:00 PM
সতর্ক থাকতে হয় প্রসাধনী নির্বাচন নিয়ে।
সুগন্ধ-যুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলা
প্রসাধনীর গন্ধ যতই ভালো লাগুক, সুগন্ধি যুক্ত প্রসাধনী সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে।
নিউ ইয়র্ক’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ যোশুয়া জেইশনার বলেন, “সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের সুগন্ধুযুক্ত সকল প্রসাধনী এড়িয়ে চলা উচিত, এতে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক যে কোনো ধরনের সুগন্ধি এই ধরনের ত্বকের জন্য বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করে।
আর্দ্রতা রক্ষাকারী ক্লিঞ্জার
ত্বক পরিষ্কার করতে আর্দ্রতারক্ষাকারী ফেইসওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডা জেইশনার। এটা ত্বক এক্সফলিয়েট না করেও পরিষ্কার করে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ডা. জেইশনার বলেন “সংবেদনশীল ত্বকে কোলোইডাল ওটমিল বা সেরামাইড সমৃদ্ধ উপাদানের তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উপকারী।”
এটা ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে।
শক্তিশালী সক্রিয় উপাদান এড়িয়ে চলা
সংবেদনশীল ত্বকে সক্রিয় উপাদান ব্যবহার না করাই ভালো।
ডা জেইশনারের ভাষায়, “ত্বকের জ্বলুনি সৃষ্টি করে যেমন- রেটিনল, হাইড্রোক্সি অ্যাসিড ব্যবহার না করাই ভালো।”
এগুলো ত্বকের মৃতকোষ দূর করে নতুন কোষ গঠনে উদ্দীপিত করে ফলে ত্বক দেখতে উজ্জ্বল, মসৃণ ও চকচকে লাগে।
তাই ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মিনারেল সানস্ক্রিন ব্যবহার
রাসায়নিক সানস্ক্রিন সংবেদনশীল ত্বকের অস্বস্থির কারণ হতে পারে বলে মনে করেন, ডা জেইশনার।
তিনি জিংক অক্সাইড সমৃদ্ধ সানস্কিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটা ত্বকে কম সংবেদন সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন