প্রসাধনীর কার্যকারিতা বাড়াতে

প্রসাধনী ব্যবহারে ভুল হলে সেটা থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 10:50 AM
Updated : 1 Oct 2021, 10:50 AM

ত্বকের যত্নে যতই দামী ও কার্যকর প্রসাধনী ব্যবহার করা হোক না কেনো, সেটা যদি ধারাবাহিক ভাবে অর্থাৎ কোনটার পর কোনটা ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তাহলে তা কার্যকারিতা হারায়।

নিউ ইয়র্ক’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং ‘শোয়েগার ডার্মাটোলজি’র ডা. মাইকেল ফার্বার ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “ত্বকের জন্য কেবল ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী কেনাই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং তা ব্যবহারের ধারাবাহিক স্তর মেনে চলাও জরুরি।” 

ক্লিঞ্জার: ত্বক পরিষ্কার না থাকলে কোনো প্রসাধনী ঠিক মতো কাজ করবে না। তাই সকালে ও রাতে ভালো মতো মুখ ধোয়া জরুরি।

ডা. ফার্বার বলেন, “ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিঞ্জার কেনা উচিত। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের সেরামাইড ও গ্লিসারিন সমৃদ্ধ পণ্য এবং খুব বেশি শুষ্ক ত্বক হলে তেল নির্ভর পরিষ্কারক ব্যবহার করতে হবে।”

তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা জেল ভিত্তিক এবং সংবেদনশীল ত্বকে মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, ত্বক পরিষ্কার রাখতে, ময়লা, তেল ও মেইকআপ দূর করতে দিনেও মুখ পরিষ্কার রাখা জরুরি।

টোনার: কিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরে এতে থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দূর করতে টোনার ব্যবহার করা উচিত।

উদাহরণস্বরূপ, জাদুকরী হেইজেল-সহ অ্যাস্ট্রিনজেন্ট টোনারগুলো কার্যকরভাবে ত্বক থেকে তেল অপসারণ করে। তবে জ্বালা-পোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

তাই কেবল অত্যন্ত তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের এটা ব্যবহার করা উচিত।

ডা ফার্বার আরও বলেন, “ত্বকে সেরাম ব্যবহারের আগে টোনার ব্যবহার করে নিলে তা আরও ভালো কাজ করে। টোনার ব্যবহার করে ত্বক সামান্য শুকিয়ে নিয়ে সেরাম ব্যবহার করতে হবে।”

আই ক্রিম: ত্বকে অন্য প্রসাধনী ব্যবহারের আগে চোখের ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। না হলে ত্বকে ব্যবহৃত ক্রিমের গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা রেটিনল চোখের নরম ত্বকে শোষিত হতে পারে।

এখানকার ত্বক অনেক বেশি নাজুক হওয়ায় এর জন্য সহনীয় জেল বা ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি।

ডা ফার্বার বলেন, “চোখের ক্রিম ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাছাই করতে হবে। চোখের ওপরের ত্বক তৈলাক্ত হলে জেল ভিত্তিক উপাদান অথবা আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফর্মুলা বা ক্যাফেইনযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা চোখের ফোলাভাব ও কালচে দাগ দূর করতে সহায়ক।”

চোখের চারপাশের ত্বক নরম ও কোমল হওয়াতে সতর্কতার সঙ্গে আঙ্গুল ব্যবহার করে আলতোভাবে প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন ডা ফার্বার।

সেরাম: ত্বকের বিশেষ প্রয়োজনকে উদ্দেশ্য করে সেরাম ব্যবহার করা হয়।

যেমন- ত্বকের শুষ্কতা, কালো দাগ, মলিনতা বা ব্রণ।

“সেরাম বিশেষ কাজের জন্য সক্রিয় উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় এবং দিনের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন উপকারের জন্য তা ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে,” বলেন ফর্বার।

যেমন- ভিটামিন সি দিনে সূর্যালোক ও দূষণ থেকে সুরক্ষা দেয়। রাতে ব্যবহারে তা অ্যা্ন্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে।

ডা ফার্বার, রাতে রেটিনল সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে ত্বক সতেজ থাকে।

তার ভাষায়, “সন্ধ্যায় সেরাম ব্যবহার ত্বক পুনর্গঠনে কাজ করে কোলাজেন বাড়ায়। ফলে সকালে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও নিখুঁত।”

ময়েশ্চারাইজার: ত্বকের যাবতীয় যত্নের পরে এর আর্দ্রতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার কেবল ত্বককে আর্দ্র রাখে না বরং আগের ব্যবহৃত উপাদানগুলোকে সুরক্ষিত রাখে।

ডা. ফার্বার, দিনে হালকা লোশন বা ক্রিম এবং রাতে ভারী ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

ছবির মডেল: জোজো। মেইকআপ: আরিফ। ফটোগ্রাফার: তানভির খান।  ছবি সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফিস্টুডিও।

আরও পড়ুন