আর এই পরমর্শ দিয়েছেন, ‘টিকটক’ ব্যবহারকরী টমি সিমাতো। যিনি ‘ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন বহু বছর।
ভিডিও বার্তায় তিনি বিমান ভ্রমণে বেশ কিছু নিরাপত্তা-বিষয়ক তথ্য তুলে ধরেন। তার এই ভিডিও ‘ভাইরাল’ হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, তবে কী প্রতিবার ‘ফ্লাইট’ শেষে প্লেন পরিষ্কার করা হয় না?
সিমাতো উত্তরে লিখেছেন, “অবশ্যই করে। তবে নিজেদের আরও সাবধান থাকার জন্যই আমার এই প্রয়াস।”
তার এই ভিডিও ধরে বিভিন্ন গনমাধ্যম প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিমাতোর পরামর্শগুলো।
সিমাতোর প্রথম পরামর্শ ছিল- বিমানের একই সিট, সিটের হাতল, দরজার হুক ইত্যাদি অনেকেই ব্যবহার করেন। তাই নিরাপদে বিমানে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
‘শর্টস’ না পরা: এই তিনি ব্যাখ্যা করেন, “বিমানে ‘শর্টস’ পরা ঠিক নয়। কারণ এর আগে কতজন এই আসনে বসেছেন বা হাত মুছেছেন তা আপনার জানা নেই। ছোট পোশাক পরা হলে ত্বক বেশি জীবাণুর সংস্পর্শে আসে। তাই বড় প্যান্ট পরাই বেশি নিরাপদ।”
একই দেহভঙ্গিতে না ঘুমানো: ঘুমানোর সময় পা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি জানালার দিকে মাথা দিয়ে না ঘুমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
“আপনার আগে একাধিক ব্যক্তি জানালা স্পর্শ করেছেন এবং তাদের হাতে থাকা ময়লা জানালার চারপাশে রয়েছে,” বলেন সিমাতো।
আর্দ্র থাকতে: বিমানে ওঠার আগে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি।
তার কথায়, “ফ্লাইটে ওঠার আগে কমপক্ষে ১৬ আউন্স পানি পান করা প্রয়োজন।”
তার এই পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে ‘বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের চিকিৎসক ম্যাথিও গোল্ডম্যান বলেন, “উড়োজাহাজের কেবিনে বায়ু চলাচল কম করায় আর্দ্রতা কম থাকে। আর উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও কমতে থাকে। যে কারণে গলা, নাক ও ত্বকে শুষ্কতা অনুভত হয়।”
বাথরুমের দরজা ব্যবহারে সতর্কতা: পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে বা দীর্ঘক্ষণ ‘ফ্লাইটে’ থাকায় বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হওয়া স্বাভাবিক।
এক্ষেত্রে বাথরুমের দরজা ও ‘ফ্ল্যাশ’ বোতাম খালি হাতে না ধরার পরামর্শ দেন সিমাতো।
তিনি বলেন, “এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। তাই ফ্ল্যাশ ও দরজার হাতল, ছিটকিনি ধরার আগে টিস্যু বা ন্যাপকিন পেঁচিয়ে নেওয়া ভালো।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন