যেকোনো একটি খাদ্যাভ্যাসে ওজন নাও কমতে পারে

ক্যালরি কম গ্রহণ করা বা একবেলা না খেয়ে থাকা- একরকম অভ্যাসে বাড়তি ওজন ঝরে কম।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2021, 07:16 PM
Updated : 6 Sept 2021, 07:16 PM

দেহের বাড়তি চর্বি কমাতে ক্যালোরি কম গ্রহণ করা, কার্বোহাইড্রেইট কম/ চর্বি বেশি এবং খণ্ডকালীন না খেয়ে থাকা- এই তিন ধরনের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসের যেকোনো একটি চালিয়ে যান অনেকে।

তবে গবেষণা বলছে একটানা একই রকম খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে গেলে ওজন সেভাবে কমে না। বরং এই তিনরকম খাদ্যাভ্যাস ওলট-পালট করে চালিয়ে গেলে দেহের বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনা বাড়ে।

‘ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো’র ‘ডালা লানা স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’য়ের ‘এপিডেমিওলজি’ বিভাগের করা গবেষণায় এরকম ফলাফল পাওয়া গেছে।

‘নিউট্রিশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য চিকিৎসার মাধ্যমে ওজন কমাতে আসা ২২৭ জনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে, তাদের সবাইকে ওপরের তিনটি খাদ্যাভ্যাসের যে কোনো একটি বেছে নিতে বলা হয়।

কয়েকদিন পর ১৫৪ জন অংশগ্রহণকারীর চলতি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে অন্যটি দেওয়া হয়। তৃতিয় ধাপেও একই পদ্ধতি খাটানো হয়।

এমনকি খণ্ডকালীন না খেয়ে থাকার মাঝেও অংশগ্রহণকারীরা ‘লো-কার্ব, হাই-ফ্যাট ডায়েট’ চালিয়ে গিয়েছেন।

যে কোনো একটি খাদ্যাভ্যাস অভ্যস্ত থাকার ফলাফলে দেখা গেছে ৭৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরের ওজন অনুযায়ী ৫ শতাংশ কমেছে। আর ‘ডায়েট প্ল্যান’ অনুযায়ী ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য চোখে পড়েনি।

তবে যারা ওলট-পালট করে তিন রকমের খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে গেছেন তাদের ওজন প্রায় দ্বিগুন পরিমাণে কমতে দেখা গেছে।

যা নির্দেশ করে যে, ওজন কমানোর ‘ডায়েট’ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট ফলাফলে পৌঁছাতে বেশি সাহায্য করে।

একই ধরনের খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে যাওয়া অনেকেটাই চ্যালেঞ্জিং। ফলে মানুষ সেটা বন্ধ করে দেয়।

প্রধান গবেষক ড. রেবেকা ক্রিস্টিনসেন বলেন, “যে কারণে ক্রমাগত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের বিষয়টা উৎসাহদায়ক। লম্বা সময় ধরে একই খাবারে অভস্ত থাকা কঠিন। বরং খাদ্যাভ্যাস ওলট-পালট করে চালিয়ে যাওয়াটা সহজ।”

‘ইট দিস, নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রেবেকা জোর দিয়ে আরও বলেন, “তবে যাদের শরীরের ওজনের ৫ শতাংশ কমেছে তাদেরও উপকার কম হয়নি। কারণ আগের গবেষণায় দেখা গেছে বাড়তি ওজন কমা সর্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেহের সার্বিক ওজন থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমলে রক্ত চাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে।

এমকি স্থূল শ্রেণীর মধ্যে যার পড়েন তাদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

তাই ওজন কমানোর পন্থা হিসেবে যখন শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করছেন তখন এক ধারায় না থেকে বিভিন্ন ধারার খাদ্যাভ্যাস ওলট-পালট করে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ড. রেবেকা।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন-