আর্দ্রতার কারণে ত্বকের ক্ষতি ও সমাধান

আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি বা কমের কারণে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2021, 05:59 AM
Updated : 27 August 2021, 06:11 AM

আর এই বিষয়টা হয়ত খেয়াল করা যায়, ঋতু পরিবর্তনের সময়।

ভারতের ‘জোভিস’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতা রাখি আহুজা বলেন, “আর্দ্রতা ত্বক ও চুলে উল্ল্যেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। উচ্চ আর্দ্রতা ঘামের নালীগুলো বন্ধ করে দিয়ে এর কাজে বাধা দেয়। ফলে নানান সমস্যা দেখা দিতে থাকে।”

বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে আর্দ্রতা বলে। সুস্থ ত্বকের জন্য বাতাসের আর্দ্রতা ও শুষ্কতার সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন। বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় আবার মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকে ব্রণ ও র‍্যাশের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধির ফলাফল

লক্ষ করলে দেখা যাবে, গ্রীষ্মকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় সাধারণ গরমও বেশি তীব্র লাগে।

ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আহুজা বলেন, “আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা বেশি থাকায় ঘামও বেশি হয়।”

প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘাম বাষ্প হয়ে যায় কিন্তু আর্দ্রতা ত্বকে থেকে যায়, ফলে অস্বস্তি বেশি লাগে। 

এছাড়াও, উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ‘হিট স্ট্রোক’-সহ নানান ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- ব্রণ, লালচেভাব, চুলকানি এবং অস্বস্তি।

ঘাম লোমকূপের ছিদ্রগুলোতে আটকে থেকে বিরক্তিকর ব্রণের সৃষ্টি করে।

সমাধান

আর্দ্রতা থেকে ত্বককে বাঁচতে করণীয় রয়েছে অনেক কিছুই। 

মুখ ধোয়া: আর্দ্রতার কারণে ঘাম আর ঘামের কারণে ধুলা ও ময়লা জমে থেকে। এছাড়াও ঘামের নোনতাভাব লোমকূপে আটকে থেকে ব্রণ, ব্রেক আউট ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে মুখ ধোয়া প্রয়োজন।

তবে আহুজা, অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই ত্বকে মৃদু ফেইসওয়াশ ও ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।

সাপ্তাহিক ফেইশল: বর্ষায় ত্বকে তেল, ময়লা ও দূষণ জমাট বাঁধে যা দূর করতে ফেইসওয়াশ যথেষ্ট নয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সপ্তাহে ঘরে বসে একবার ফেইশল করা প্রয়োজন। এতে ত্বক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য ও তেলের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

আহুজা প্রতি সপ্তাহে ত্রিশ মিনিট নিজের ত্বকের জন্য ব্যয় করার পরামর্শ দেন। তিনি ঘরে ফেইশল করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।

      ক্লিঞ্জিং: শুরুতেই ত্বক ‘ফেইশল ক্লিঞ্জার’ দিয়ে ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

      এক্সফলিয়েশন: ত্বকের যত্নে মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করা প্রয়োজন। ঘরে স্ক্রাব না থাকলে একটা লেবু অর্ধেকটা কেটে তাতে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

      মুখ মালিশ করা: ত্বকে জলপাইয়ের তেল গোলাকারভাবে মালিশ করুন। এতে ত্বকে রক্ত    সঞ্চালন বাড়ে ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে।

      ফেইস প্যাক: সবচেয়ে ভালো ফেইস প্যাক হল ফলের আঁশ। কলা বা পেঁপের শ্বাস মাস্ক    হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফল চটকে মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে     ধুয়ে ফেলুন।  

      ময়েশ্চারাইজার: সব শেষ ধাপ হল ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। পানি-ভিত্তিক     ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য বেশি মানানসই।

ব্রণ প্রতিরোধক

ত্বক ব্রণ প্রবণ হলে এতে ব্রণের পাশাপাশি, ‘আউটব্রেক’ও বেড়ে যায়, যদি ত্বক ভেজা বা স্যাতঁস্যাঁতে অবস্থায় থাকে। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে ‘ওয়েট ওয়াইপ্স’ ব্যবহার করা যেতে পারে। আর মুখের সংস্পর্শ থেকে চুল দূরে রাখা উচিত।

আহুজা বলেন, “ত্বককে ব্রণ থেকে দূরে রাখতে তেল নির্ভর লোশন দূরে রাখা এবং বেঞ্জয়েল পারক্সাইড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।”

আরও পড়ুন