দেহের ফুঁড়ানো বা ছিদ্র করা স্থানের সংক্রমণ দূর করার উপায়

প্রথম কথা হল গহনা খোলা যাবে না।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2021, 01:33 PM
Updated : 23 August 2021, 01:33 PM

গয়না পরতে কানে, নাকে বা দেহের যে কোনো অংশে ফোঁড়ানো হলেও অনেককেই পোহাতে হয় নানা ঝক্কি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সংক্রমণ।

নিউ ইয়র্ক’য়ের নিবন্ধিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডেব্রা জ্যালিম্যান, মুখ বা শরীরের যে কোনো জায়গায় ছিদ্র (ফোঁড়ানো) করা হলে যে সংক্রমণ দেখা দেয় তার চিকিৎসা সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

সংক্রমণ কিনা তা নিশ্চিত হওয়া

‘হ্যালোগিগিলস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডা. জালিমান বলেন, “সংক্রমণের লক্ষণগুলো হল লালচেভাব, নরমভাব, ফোলাভাব, পুঁজ বা শক্তভাব ইত্যাদি। আর সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এসব সমস্যার পাশাপাশি জ্বরও আসতে পারে।”

গহনার ধাতু

কান ফোঁড়ানোর পরে সংক্রমণ নিয়ে ঝুঁকি থাকলে কী ধরনের ধাতুর গহনা পরছেন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

একেক জনের ত্বক একেক ধাতুর প্রতি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া করে থাকে।

এই বিষয়ে ডা, জ্যালিম্যান বলেন, “প্লাটিনাম ও ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ ত্বকের পক্ষে নিরাপদ, এগুলো সার্জিকেল স্টিলের মতো।”

সাধারণত, নিকেলের তৈরি গহনা সংবেদনশীল ত্বকে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই সচেতন থাকা জরুরি।

ধাতবের প্রতি সংবেদনশীলতা না থাকার পরেও সংক্রমণ দেখা দেওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ।

গহনা খুলবেন না 

সংক্রমিত ছিদ্র থেকে তাড়াহুড়া করে গহনা খুলে নেওয়া ঠিক নয়, এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

ডা. জ্যালিম্যানের মতে, “ছিদ্রে সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সংক্রমণের কারণ যদি হয় ধাতব তবে তা খুলে ফেলতে হবে অন্যথায় গহনা না খুলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ধাতবে অ্যালার্জি না থাকার পরেও তা খুলে ফেললে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে।”

সংক্রমণ সামান্য হলে এবং বাড়িতেই এর চিকিৎসা করতে চাইলে, কেবল কান বা নাক ফোঁড়ানোর ছিদ্রে গহনা পরিয়ে রেখে দিন। 

হাত পরিষ্কার রাখা

ছিদ্রে ব্যথা ও অস্বস্তি থাকায় যখন তখন হাত চলে যেতে পারে। তাই সব সময় হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত।  

আক্রান্ত স্থানের চারপাশ মৃদু সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা

হাত-মুখ ধোয়ার মতো আক্রান্ত স্থানের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাই তুলার কাঠি বা বলের সাহায্যে মৃদু সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে ভালো মতো মুছে শুকাতে হবে।

আক্রান্তস্থানে অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা ক্রিম ব্যবহার করা

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যাক্টেরিয়া-নাশক মলম বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্যথা ও ঝুঁকি কমে যায়।

আক্রান্ত স্থানে হাত না দেওয়া

জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি আছে এমন স্থানে বার বার হাত যাওয়ার প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে এটা সংক্রমণ বাড়াতে গুরুতর ভূমিকা রাখে। তাই যতটা সম্ভব সচেতন থেকে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন