চাকরির পরীক্ষায় যেমন পোশাক পরা উচিত

কথায় বলে ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী’। আর চাকুরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটা বেশ জরুরি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2021, 04:45 PM
Updated : 21 August 2021, 04:45 PM

কাজের ধরন ও স্থানভেদে পোশাক নির্বাচনের পরামর্শ দেওয়া হল ‘পিওরওয়াও ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

সঠিক অন্তর্বাস পরিধান

প্রতিটা পেশায় পোশাকের ধরন আলাদা। পেশা ভিত্তিক যেমন পোশাকই নির্বাচন করা হোক না কেনো তার সঙ্গে মানানসই অন্তর্বাস পরা আবশ্যক।

পোশাকে শালীনতা বজায় রাখা

কোনো অবস্থাতেই চাকরির পরীক্ষায় এমন পোশাক পরা ঠিক নয় যা শালীলনতা নষ্ট করে। সাক্ষাৎকারে বিঘ্ন ঘটায়।

আকর্ষণ বাড়াতে অনেকেই বড় গলার ‘লো কাট’ পোশাক পরার চিন্তা করতে পারেন। সেটা হবে অপেশাদারী লক্ষণ।

নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশে পোশাকে শালীনতা বজায় রাখা জরুরি।

খুব বেশি আঁটসাঁট পোশাক না পরা

পোশাক পরিধানে আরাম সবার আগে। নিজের ওপর অন্যের ভালো ভাব আনতে নিজের স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করা ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা জরুরি। এর জন্য পা থেকে মাথা পর্যন্ত আরামদায়ক পোশাক ও জুতা বাছাই করতে হবে।

জুম মিটিংয়েও পরিপাটি পোশাক পরা

যে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে জুম মিটিংয়েও অপাদমস্তক পরিপাটি পোশাক পরা উচিত।

বেখেয়ালে নিজের স্থান থেকে উঠতে হলে বা নড়াচড়া করার কারণে ক্যামরার স্থান পরিবর্তন হলে বিব্রতিকর পরিস্থিতি পড়তে হতেও পারে।

তাছাড়া সম্পূর্ণ পরিপাটি হয়ে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই দৃঢ় হয়।

আগের দিন সম্পূর্ণ পোশাক পরিক্ষামূলকভাবে পরিধান করা উচিত

কোনো বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে পরিধেয় পোশাকটি আগে একবার পরে নিলে তার কোনো খুঁত থেকে থাকলে ঠিক করে নেওয়া যায়। তাছাড়া এতে করে অস্বস্তি অনেকটা কমে ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আর প্রয়োজন হলে তা পরিবর্তন করারও সুযোগ থাকে।

পছন্দের কোনো জায়গায় চাকুরির পরীক্ষা দিতে গেলে এবং তাদের নিজেস্ব কোনো পরিচ্ছদ থাকলে তার সঙ্গে সামঞ্জ্যস্য রেখে পোশাক নির্বাচন করতে পারেন। পোশাক পরার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা খুব বেশি আঁটসাঁট বা ঢিলা না হয় এতে ব্যক্তিত্বের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

তাই কোথায় চাকুরির সাক্ষাৎকার দিতে যাচ্ছেন তাদের সম্পর্কে আগে থেকে খানিকটা ধারণা রাখা ও পর্যালোচনা করে যাওয়া ভালো।

ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে পোশাক নির্বাচনের সময় জিন্সের ওপরে একধাপ ও ‘অফিসিয়াল’ পোশাকের একধাপ নিচে চিন্তা করতে হবে। বোতাম-সহ ব্লাউজ, ট্রাউজার, মিডি স্কার্ট ইত্যাদি পোশাক এই কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এছাড়াও, চাইলে ফুলের বা রেখার নকশা করা পোশাক পরা যেতে পারে। আর রংয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও উজ্জ্বল রং বাছাই না করাই ভালো। জুতা হিসেবে পাতলা, কম হিল ও লোফার ধর্মী জুতা নির্বাচন করা যেতে পারে।

সৃজনশীল বা প্রকাশনার পেশায়

সৃজনশীল মূলক কোনো পেশার সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় এবং ব্যবসা-সুলভ নয় এমন পোশাক পরিধান করা ভালো।

উদাহরণ স্বরূপ-  উজ্জ্বল রংয়ের, ছাপার ব্লাউস, টপস বা স্কার্টের সঙ্গে বিপরীত রংয়ের বেল্ট পরা যেতে পারে। তবে কী পোশাক পরবেন তা নিয়ে দ্বিধা থাকলে সাধারণ ও পরিপাটি পোশাক পরিধান করাই ভালো।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন