‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বনাম সম্পর্ক

ঘর সামলিয়ে ঘরেই অফিস। আর মানসিক চাপ থেকে সম্পর্কে দ্বন্দ্ব। কোনোটাই মিথ্যা নয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2021, 07:29 AM
Updated : 19 August 2021, 07:29 AM

মহামারীর শুরুর পর থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। তবে বাসায় থেকে বাসার বিভিন্ন কাজ সামলিয়ে একই সময়ের মধ্যে অফিসের কাজ করার বিষয়টা আসলেই জটিল। বিশেষ করে যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি।

ফেমিনা ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, বাড়তি কাজের চাপের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ কর্মী বাড়তি ভিডিও মিটিং এবং ৪০ শতাংশের ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় মানসিক চাপ বাড়ায়।

ঘরে বসে কাজ করলে কী ধরনের বিষয়গুলো মানসিক ও সম্পর্কে চাপ সৃষ্টি করে, এই প্রতিবেদনে ভারতের মনোবিজ্ঞানী রিশমা শাহ তুলে ধরেন।

সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারা: ঘরে থেকে অফিসের কাজ করায় অনেকেই কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন না। কখন কোনটার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে তা বুঝে উঠতে না পারার কারণে ব্যক্তিগত জীবনে দেখা দেয় নানান সমস্যা। অনেক সময় কর্ম জীবনে সফল হতে গিয়ে পরিবারকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু তা সবসময় হওয়া ঠিক নয়।

মানসিক চাপ: ঘরে থাকলে বা অফিসে কাজ করার সময় নিজ নিজ কাজে মনোযোগ দেওয়া সহজ। কিন্তু ঘরে বসে অফিস করার সময় একই জায়গায় থেকে দুই ভূমিকা পালন করা মানসিক চাপ বাড়ায়। এতে পরিবার বা কাজ কোনটার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না।

দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া: ঘরে বসে অফিস করা বা ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি রান্না করা, ঘরের কাজ সামলানো ইত্যাদি বেশ কষ্টকর। এটা শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়ায় ফলে সঙ্গীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাড়ে।

একই জায়গা ভাগ করে নেওয়া: ঘরে বসে অফিসের কাজ করার আরেকটি সমস্যা হল একই কাজের জায়গা সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। দুজনের একই সময়ে অনলাইন মিটিং হলে বা কাজের চাপ বাড়লে মেজাজও চড়ে যেতে পারে। ফলে বাড়তে পারে কলহ। তাছাড়া নেটওয়ার্কের সমস্যা, বাইরের শব্দ ইত্যাদি কাজ ও মিটিংয়েও বিভ্রাট সৃষ্টি করে।

সমস্যা সমাধানের উপায়

উন্নত যোগাযোগ ও দ্বন্দ সমাধানের দক্ষতা: সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। যেমন- কার কখন কোন কাজ তার আগে থেকেই তালিকা করে রাখা ভালো। এতে ভুল বুঝাবুঝির ঝুঁকি কমে।

চরম অবস্থা সৃষ্টি না করা: অফিসের কাজ ও পরিবার দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনোটাকেই বাদ দেওয়া ঠিক নয়। কাজের সময় ও পরিবারকে দেওয়া সময় নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। এতে সম্পর্কে ও অফিস দুটোই ঠিক থাকবে।

দোষারোপ করা বন্ধ করা: যে কোনো সমস্যাই দায়িত্ব নিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করতে হয়। মানুষ হিসেবে সবসময়ই নিজের দোষ ঢেকে অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা কাজ করে। তাই একে অপরকে দোষ না দিয়ে বরং সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা উচিত।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন