যেসব খাদ্যাভ্যাসে শরীরচর্চা যায় পণ্ডশ্রমে

যতটুকুই ব্যায়াম করুন, খাওয়ার অভ্যাসের দিকে নজর না দিলে কোনো লাভ হবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2021, 11:10 AM
Updated : 17 August 2021, 11:10 AM

শরীরচর্চার রুটিন ধরে রাখতে হলে শরীরকে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে হবে। এতে শরীরচর্চার সত্যিকার উপকার যেমন চোখে পড়বে তেমনি কসরতের পর মানসিকভাবেও প্রফুল্ল থাকবেন।

‘ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলোর কারণে নিয়মিত শরীরচর্চা বৃথা হয়ে যাওয়া সম্ভব।

ব্যায়ামের কিছুক্ষণ আগেই খাওয়া

ব্যায়ামের করার সময় যদি শৌচাগারে যেতে হয় তবে তা বেশ বিরক্তিকর হতে পারে। আর প্রকৃতির ডাক মাথায় নিয়ে ব্যায়াম করাটাও বিপদজনক বিভিন্ন দিক থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, ব্যায়ামের কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগেই খাওয়ার পর্ব সেরে নেওয়ার উচিত। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার তিন থেকে চার ঘণ্টা পরেই ব্যায়াম করতে হবে।

এতে শৌচাগারে যাওয়ার তাড়া অনুভূত হবে না। আবার খাওয়ার পরের ঘুম ঘুম ভাবও কেটে যাবে ততক্ষণে।

ব্যায়ামের আগে পর্যাপ্ত না খাওয়া

ভারী ব্যায়াম করার আগে শরীরকে পর্যাপ্ত ক্যালরির যোগান দেওয়ার প্রয়োজন আছে। সকালে ব্যায়াম করার সময় যদি কখনও মনে হয় যে দুর্বল লাগছে বা মাথা ঘুরছে, তাহলে বুঝতে হবে ব্যায়ামের আগে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া হয়নি। যারা সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করেন তাদের মাঝে এই ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়।

আর ভোরবেলার সবাই খেতেও পারেন না। এক্ষেত্রে ভোরবেলা হালকা কিছু খেয়ে তারপর ব্যায়াম করতে বেরোতে হবে।

ওটমিল, কলা-রুটি, বাদাম ইত্যাদি সহজ নাস্তা। এগুলো খেয়ে ব্যায়াম শুরু করতে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে আর শরীরেও ব্যায়াম করার জোর পাবেন।

অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া

নিয়মিত যদি প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার খান তবে শরীরের কর্মশক্তি ক্রমেই নষ্ট হতে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে এই কারণেই বাড়বে ‘টাইপ টু ডায়াবেটিস’য়ের ঝুঁকি।

২০২০ সালে ‘নেচার মেটাবোলিজম’য়ে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, “যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমে যায়, তাদের শরীরের ওপর ধকল নেওয়া ক্ষমতা হয় সবচাইতে কম। তাদের শরীরে প্রোটিন হয় অত্যন্ত সক্রিয়। যে করণে রক্তনালীর পেশিকোষগুলো স্বাস্থ্যবান হয়ে তৈরি হতে পারে না। আর রক্তের মাধ্যমে পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ সুষ্ঠু হওয়ার জন্য এমনটা খুবই জরুরি।

পানির অভাব

শরীরে পানিশূন্যতা থাকবে শরীরচর্চা ব্যহত হবেই। শুধু তাই নয় শরীরের তাপমাত্রা থাকবে বেশি, রক্তচাপ কমে যাবে, বমি ও বমিভাব দেখা দেবে, পেশিতে টান পড়ার আশংঙ্কা বেশি থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগাবে।

এসবের তীব্রতর পরিস্থিতি একজন মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করতে পারে। এজন্য শরীরচর্চার সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর তিন থেকে আট আউন্স পানি পান করা উচিত। পরিমাপ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে ১৫ মিনিট পর পর কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতে হবে।

অতিরিক্ত কফি

কফি শরীরকে চাঙ্গা করে, তাই ব্যায়ামের আগে কফি পান করাটা ভালো। তবে পরিমাণ এখানেও গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত কফি শরীরচর্চায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বুক ধড়ফড় করা, হৃদস্পন্দনে বেড়ে যাওয়া, শরীরে কাঁপুনি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

এক কাপ সর্বোচ্চ দুই কাপ কফিই যথেষ্ট। শুধু কফি আবার পান করা যাবে না, সঙ্গে হালকা স্ন্যাকসও খেতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন