রোদ থেকে হাত দুটো বাঁচাতে

হাত রোদে পুড়ে কালচে হতে পারে, দেখা দিতে পারে ত্বকের শুষ্কতা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2021, 09:09 AM
Updated : 16 August 2021, 09:09 AM

যারা সাইকেল, মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন প্রতিনিয়ত তাদের প্রায় সবারই পুরো হাতের নিচের অংশ রোদে পুড়ে কালো হয়ে যায়। শরীরের যে অংশের ত্বক অনাবৃত থাকে সেই অংশেই এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে দুই হাতেই সবচাইতে বেশি হয়।

ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রসঙ্গ আসলে চেহারার যত্ন নেওয়ার প্রসাধনীর কথাই মাথায় আসে সবার আগে। তবে শুধু মুখের ত্বকেই যে বলিরেখা দেখা দেয় তা কিন্তু নয়। তাই যখনই সানস্ক্রিন মাখছেন, শুধু মুখেই নয় দুই হাতেও মেখে নিন।

‘হ্যান্ড ক্রিম’ বা হাতের জন্য আলাদা একটা প্রসাধনী ব্যবহার করা অনেকের কাছেই অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। তবে হাতের ত্বকের কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা যখন খেয়াল করে দেখবেন তখনই বুঝবেন চেহারার পাশাপাশি হাতের ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষ করে হাতের উল্টোপাশটা সারা বছরই সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসে প্রতিদিন। ফলে চেহারার চাইতেও হাতের ত্বকের ওপর সূর্যের ক্ষতির প্রভাবটা পড়ে কয়েকগুন বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিভারডেল ডার্মাটোলজি’র নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. স্টেসি চিমেন্টো বলেন, “মাথার ত্বক বা ‘স্ক্যাল্প’ আর হাতের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় সামান্য পাতলা হয়। ফলে এদের ধকল সহ্য করার ক্ষমতাও হয় কম। আর দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যে ধরনের পোশাক পরে, তার সিংহভাগই এই অংশগুলোকে কোনো সুরক্ষা দেয় না। আর এই অংশগুলোতেই সরাসরি রোদ লাগে।”

রিয়েল সিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন সরাসরি রোদ লাগার কারণে এই অংশের ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ বা স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। ফলে ত্বক কুঁচকে যেতে থাকে, বলিরেখা দেখা দেয়, মসৃণতা হারায়।”

“আবার হাতের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় বেশি শুষ্ক হয়। আর সারাদিনে দুই হাত দিয়ে যত কাজ করা হয় তাতে হাতের ত্বকের ওপর ধকলটা পড়ে বেশি। যেমন শুধু বাসন ধোয়ার কথাই যদি চিন্তা করা হয়, তবে সামান্য সময়ের মধ্যে হাত দিয়ে বিভিন্ন জিনিস স্পর্শ করা হয় যা হাতের ত্বকের আর্দ্রতা, লাবন্য কেড়ে নেয় দ্রুত।”

করণীয়

বাংলাদেশের আবহাওয়ার হিসেবে ‘হ্যান্ড ক্রিম’য়ে ‘সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর (এসপিএফ) থাকতে হবে নুন্যতম ৪০।

ডা. স্টেসি চিমেন্টো বলেন, “প্রাকৃতিক তেল, ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ‘ময়েশ্চারাইজিং’ উপাদান যেমন গ্লিসারিন আছে এমন ক্রিম বেছে নিতে হবে। কয়েকটা প্রসাধনী ব্যবহার করে যাচাই করতে হবে কোন প্রসাধনীগুলো আপনার ত্বকের জন্য মানানসই।”

তিনি আরও বলেন, “হাতের ত্বকেও বয়সের ছাপ পড়ে। তাই ঘরে বাইরে সবখানে ব্যবহারের জন্য ‘অ্যান্টি-এইজিং’ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোতে ‘এসপিএফ’ নাও থাকতে পারে তবে ত্বকের যে অংশগুলো রোদে পুড়ে যাচ্ছে সেখানকার স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও উপকারী হবে।”

“হাতের ত্বক যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক তাদের উচিত বিশেষায়ীত ‘ময়েশ্চারাইজার’ ব্যবহার করা আলাদাভাবে। এগুলো যেমন আর্দ্রতা যোগাবে, তেমনি ত্বকের ওপর এক ধরনের সুরক্ষা আবরণ তৈরি করে রাখবে।”

আরও পড়ুন