দেহের স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখতে বিপাক প্রক্রিয়ার মাত্রার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
Published : 12 Aug 2021, 01:12 PM
বর্তমান সময়ে ‘মেটাবলিজম’ বা বিপাক-প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দেহের খাবার থেকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার পদ্ধতিকে বলা হয় বিপাক প্রক্রিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ লরা বিউর্যাক ‘ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “বিপাক হার কম হলে নানান রকমের শারীরিক সমস্যা যেমন- ওজন বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে বিপাক হারের দিকে মনোযোগ রাখা প্রয়োজন।”
বিপাক বাড়াতে কার্যকর খাবার সম্পর্কে ‘গেটনেকেড নিউট্রিশন’য়ের এই প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘স্লিম ডাউন উইথ স্মুদি’ বইয়ের লেখক পাঁচটি খাবার সম্পর্কে জানান।
ডিম: বিপাক বাড়াতে প্রোটিন গ্রহণ করা জরুরি। ডিম উচ্চ প্রোটিন, কম চর্বি ও ক্যালরি সমৃদ্ধ।
বিউর্যাকের মতে, “প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ডিম দেহের বিপাক বাড়ায় ও তাপ বৃদ্ধি করে।”
“এগুলি হজম করতে শরীরের বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়, যা খাবারের উচ্চ তাপীয় প্রভাব (টিইএফ) হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। তাই, এগুলো দেহের বিপাকীয় হার বাড়াতে পারে।”
বাদাম ও বীজ: ঝটপট স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে বাদাম ও বীজ খাওয়া সহজ সমাধান। এগুলো পুষ্টি যোগানোর পাশাপাশি বিপাক বাড়ায়।
বিউর্যাকের মতে, এক মুঠো বাদাম বা বীজ দুবেলার খাবারের মাঝে রক্তের শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।
তিনি আরও বলেন, “এগুলো বহনযোগ্য এবং মাইক্রো-কার্ব, প্রোটিন ও চর্বি সমৃদ্ধ।”
পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়া বিপাক ধীর করে। তাই বিপাক বাড়াতে নাস্তা হিসেবে বাদাম বা বীজ খাওয়া সহজ উপায়।
তার পরামর্শ, “বাদামের প্যাকেট সঙ্গে রাখলে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবারহ করবে এবং ক্ষুধা নিবারণ করবে।”
মসলাদার খাবার: বিপাক বাড়াতে মসলাদার খাবারের সুপরিচিত।
‘ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়- আদা, কালো গোল মরিচ বা সরিষা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে।
বিউর্যাকের ভাষায়, “অনেক গবেষণায় দেখ গেছে, ঝাল সসে মরিচের ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান থাকায় তা সাময়িকভাবে বিপাকের হার বাড়ায়।”
তিনি ঝাল সস খাওয়ার পরামর্শ দেন। তার মতে, ঝাল সস কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং স্বাদ বাড়াতে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা থেকেও রক্ষা করে।
পানি: যদিও পানি কোনো খাবার না। কিন্তু বিপাক হার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হিসেবে কাজ করে।
বিউর্যাক বলেন, “পানি কেবল পেট ভরা অনুভব করিয়ে বাড়তি খাবার গ্রহণ থেকেই বিরত রাখে না বরং বিপাকের হার বাড়াতে ও খাবার হজমে সহায়তা করে। আর দেহের বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতেও ভূমিকা রাখে।”
শুনতে সহজ মনে হলেও সারাদিনের ব্যস্ততায় নিয়ম করে পানি পান করা হয় না।
দৈনিক প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বিউর্যাক বলেন, “ওজনকে পাউন্ডে ভাগ করে তার অর্ধেক আউন্স পরিমাণ পানি পান করা দৈনিক চাহিদা পূরণ করে। পানি পানে গ্লাস বা কাপের হিসাব না রেখে বরং এক লিটারের বোতল দিনে দুতিন বার ভরে পান করাই যথেষ্ট।”
আরও পড়ুন