শসা ওজন কমাতে পারে

তবে অতিরিক্ত শসা খাওয়া আবার পেটের জন্য খারাপ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2021, 08:46 AM
Updated : 8 August 2021, 08:46 AM

গরমের সময় কচকচ করে শসা খেতে বেশ লাগে। অনেকেই এই সবজি ওজন কমানোর মোক্ষম পন্থা হিসেবে বেছে নেন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণের দিকে। কারণ বেশি শসা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।

তবে অন্যান্য উপকারও আছে।

শসার পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানানো হলো ‘ইটদিস’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচায়: হার্ভার্ড হেল্থ বলছে, “ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে খাদ্যাভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত ‘কার্বোহাইড্রেইট’ এড়িয়ে চলতে হবে, চিনি মেশানো পানীয় বাদ দিতে হবে, মাংস খাওয়া কমাতে হবে।”

এগুলো বাদ দেওয়া বা কমানো পাশাপাশি কিছু খাবার যোগ করতে হবে কিংবা খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে যে খাবারগুলো ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মান কম।

যেসব খাবারে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা যত বেশি, সেই খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা ততই দ্রুত বাড়বে।

শসার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মান কম, মাত্র ১৫। এমন খাবার খেলে ‘ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স’ কমে, যা পক্ষান্তরে টাইপ টু ডায়াবেটিস’য়ের ঝুঁকি কমায়। 

আর্দ্রতা বাড়ায়: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। তবে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শসাও অত্যন্ত উপকারী।

শসার টুকরাকে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সনদপ্রাপ্ত পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিন গিলেপসি বলেন, “শসার ৯৫ শতাংশই পানি। ফলে খেতে কচকচে হলেও আসলে যেন পানিই চিবিয়ে খাচ্ছেন। এতে দৈনিক তরলের চাহিদার কিছু অংশ যেমন পূরণ হবে তেমনি তা শরীরের দৈনন্দিন কার্যাবলি সহজাতভাবে সক্রিয়া রাখতেও সাহায্য করবে।”

কমবে ওজন: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় আছে অনেকগুলো। এদের মধ্যে একটি হলো শসা। অনেকভাবে খাওয়া যায় এই সবজি, সরাসরি খেতেও তা বেশ সুস্বাদু।

এক কাপ শসায় ক্যালরি মাত্র ১৬। অর্থাৎ এর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম এমন খাবার খাওয়ার সঙ্গে ওজন কমার গভীর সম্পর্ক আছে। আর শসায় পানির মাত্রা বেশি হওয়া তা খাওয়া পেট ভরা অনুভূতি থাকে, ফলে খাওয়া কম হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: পানির পাশাপাশি শসায় ভোজ্য আঁশও থাকে প্রচুর পরিমাণে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও শসা উপকারী।

ভারতের জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, “শসার বীজ মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। এই বীজের আছে শীতল অনুভূতি।”

পেনিসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’র অন্তর্ভুক্ত কলেজ অফ মেডিসিন মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন খাবারে শসা যোগ করতে। এতে স্বাদে ভিন্নতা আসবে, কোষ্ঠকাঠিন্যও দূরে থাকবে। 

পেট ফোলাভাব কমায়: শরীরে পানির মাত্রা যেমন বাড়াবে তেমনি বাড়তি পানি শরীর থেকে বের করে দিতেও কার্যকর এই শসা। ফলে পেট ফোলাভাব নিয়ে কষ্ট পাবেন না।

কানাডার পুষ্টিবিদ লিজা রিচার্ডস বলেন, “শরীরে পানি আটকে থাকার সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলে শসায় উপস্থিত। পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও শসা উপকারী। আর এতে থাকা ভোজ্য আঁশ অন্ত্র ভালো রাখে, মল অপসারণ সহজ করে।”

অন্য সমস্যা

তবে শসা পেটে গ্যাস বাড়াতে পারে।

‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিস’য়ের মতে, “শসার একটি উপাদান হল ‘কিউকারবিটাসিন’। কুমড়া, তরমুজ ইত্যাদিতেও এই উপাদানটি পাওয়া যায়। আর এর কারণেই কিছু শসা তেতো হয় এবং এর কারণেই শসা খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে।

একবারে অনেকগুলো শসা খেলে এমনটা হয়।

আরও পড়ুন-