পার্কিনসন’স রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে যে সবজি

হাত-পা কাঁপা, পেশির জড়তা ইত্যাদির সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে মরিচ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2021, 10:36 AM
Updated : 25 July 2021, 10:36 AM

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অন এইজিং’ অনুযায়ী, পার্কিনসন’স রোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বংশগত নয়, এবং বয়স ও লিঙ্গদভেদে এই রোগ হতে পারে। তবে পুরুষদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

গবেষকরা এই রোগের ঝুঁকি কমাতে মরিচের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। 

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় (ইউডাব্লিউ) করা ২০১৩ সালের একটি গবেষণায়, মরিচ পার্কিনসন’স রোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম বলে জানানো হয়।

‘অ্যানালস অব নিউরোলজি জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এই সমীক্ষায় ৪৯০ জন নতুন আক্রান্ত পার্কিনসন’স রোগী এবং ৬৪৪ জন ব্যাক্তি যাদের এই রোগের সঙ্গে কোনো সম্পর্কে নেই তাদের বিশ্লেষণ করা হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন মরিচ খাওয়া পার্কিনসন’স রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, সপ্তাহে দুবার না বরং এর বেশি মরিচ খাওয়া যেতেই পারে এবং তা উপকারীও।

গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রতিদিন মরিচ খায় তাদের মাঝে পার্কিনসন’স রোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। সপ্তাহে দুবারের কম মরিচ খাওয়া তেমন কোনো পরিবর্তন আনে না।

‘মাউন্ট সিনাই পার্কিনসন’স অ্যান্ড মুভমেন্ট ডিজঅর্ডারস সেন্টার’য়ের, সেন্টার ফর নিউরোমোডুলেশন’য়ের সহ-পরিচালক ডা. কেলি চাঙ্গিজি (যদিও তিনি এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন না) বলেন, এই গবেষণায় খাদ্যাভ্যাস যে স্নায়ু রোগের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায় বিশেষত, পার্কিনসন’স রোগের ওপর সে সম্পর্কে জানা যায়।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে মরিচের পাশাপাশি টমেটো, টোমেটো রস ও আলু খাওয়া পার্কিনসন’স রোগের প্রভাব কমাতে আরও ভালো কাজ করে। এগুলো সোলানেইসি পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। তবে এই পরিবারের বাইরের সবজি খাওয়া পার্কিনসন’স এর জন্য ক্ষতিকারক নয় বলে জানান গবেষকরা।

এক্ষেত্রে ব্রকলি, গাজর ও শসা বেশ উপকারী।

মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদান পার্কিনসন’স রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। উদ্ভিজ্জ জগতে সোলানেইসিয়া পরিবারের অন্তর্গত উদ্ভিদে রাসায়নিক নিকোটিন থাকে।

গবেষকদের মতে, খাবারের মাধ্যমে এই নিকোটিন গ্রহণ পার্কিনসন’স রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। মরিচ, টমেটো এবং আলু সবগুলোতেই পরিমাণে অল্প হলেও নিকোটিন থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অব এনভাইরোনমেন্ট অ্যান্ড অকুপেশনাল হেল্থ’এর বিজ্ঞানী ড. সুসান সিয়ারলেস নেলসন বলেন, “এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। কারণ উচ্চ মাত্রার নিকোটিন দেহের ক্ষতি করে, নেশা এমনকি মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াতে পারে।”

তার মতে, “হতে পারে একই রকম উপাদান তবে বিষাক্ততা কম এরকম রাসায়নিক মরিচে রয়েছে, যে কারণে হয়ত নিকোটিনের চাইতে পার্কিনসন’স রোগের ক্ষেত্রে এটা বেশি সুরক্ষা দেয়।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন