রান্নার কাজে, হজমের সহায়তায়, পরিষ্কার করার কাজে, ওজন কমাতে নানান রকম ভিনিগার ব্যবহার হয়। তবে কখনও কী ভেবেছেন, ভিনিগার নষ্ট হয় কি না।
‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড’ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো বিস্তারিত।
ভিনিগারের উপকরণগুলো কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকলেও এর বোতলের গায়ে মেয়াদের তারিখ তো লেখা থাকেই। সেই মেয়াদ পার হয়ে গেলে ভিনিগার আর তাজা থাকে না, এর গুণগত মান কমে যায়, কমে এর কার্যকারিতাও।
তার মানে এই নয় যে ভিনিগার নষ্ট হয়ে গেছে বা তা ব্যবহার করলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ এলিস স্কাপিরো বলেন, “প্রায় সকল ভিনিগারেই থাকে চার থেকে আট শতাংশ ‘অ্যাসিটিক অ্যাসিড’। যেমন সাদা ভিনিগারে থাকে পাঁচ শতাংশ ‘অ্যাসিটিক অ্যাসিড’ আর ৯৫ শতাংশ পানি। অর্থাৎ পানির তুলনায় অ্যাসিড অনেক কম।”
“আর ভিনিগারের মেয়াদ মূলত এর অম্লতা কমতে শুরু করার সময় ইঙ্গিত করে। অর্থাৎ ভিনিগারের সক্রিয়তা ও কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, তবে মেয়াদ পার হয়ে গেলেও ভালো থাকে, খাওয়ার যোগ্য থাকে।”
মেয়াদ পার হওয়া ভিনিগার খেলে কী হয়?
স্কাপিরো বলছেন, “তেমন কিছুই হয় না। খাওয়ার সময় মেয়াদ পার হওয়া ভিনিগারের স্বাদ খুব বেশি কড়া মনে হবে না। রং হালকা হয়ে যেতে পারে, ঘোলাটে মনে হতে পারে। তবে তার কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকবে না।”
“মেয়াদ পার হওয়ার আরও দুতিন বছর পরে ভিনিগারের রং বদলাতে শুরু করবে। আর বোতল খোলার পর ভিনিগার তিন বছর পর্যন্ত সবচাইতে ভালো অবস্থায় থাকে।”
উপকারিতা সম্পর্কে স্কাপিরো বলেন, “ভিনিগারের আছে ব্যাক্টেরিয়া রোধী গুণাগুণ। পাশাপাশি এতে থাকে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।”
“এছাড়াও ভিনিগারে ‘প্রোবায়োটিক’ মেলে যা অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়। ‘প্রোবায়োটিক’ উপকারী ব্যাক্টেরিয়া বাড়ায় আর ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া কমায়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তেও ‘প্রোবায়োটিক’য়ের ভূমিকা আছে।”
ভিনিগার সংরক্ষণ
নষ্ট না হলেও ভিনিগারের স্বাদ ও কার্যকারিতা যেহেতু নষ্ট হওয়া সম্ভব, তাই সেটা লম্বা সময় ধরে রাখতে চাই সঠিকভাবে সংরক্ষণ।
- ভিনিগারের বোতল এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সরাসরি রোদ লাগবে না। শীতল এবং অন্ধকার স্থানে রাখতে হবে।
- ভিনিগারের বোতল খুলে তা ওই বোতলেই রাখতে হবে, অন্য কোথাও নেওয়া যাবে না।
- প্রয়োজন মাফিক ঢেলে নেওয়ার পর বোতলের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে তৎক্ষণাত।
ছবি: আইএএনএস।
আরও পড়ুন