যা ত্বক শুষ্ক করার পাশাপাশি জ্বলুনির সৃষ্টি করে।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি, ই, হ্যালোরনিক অ্যাসিড ও সেরামাইড উপকারী। এগুলো ছাড়া আরেকটি উপকরণ হল অ্যালকোহল, এর ব্যবহার নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন।
ভারতের ‘ইনাতুর’ আয়ুর্বেদ ও অ্যারোমাথেরাপি’র প্রতিষ্ঠাতা অ্যারোমাথেরাপিস্ট এবং কসমেটোলজিস্ট পূজা নাগদেব অ্যালকোহল সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার সম্পর্কে জানান টাইমস অব ইন্ডিয়াতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার পণ্যগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।
এটি ময়েশ্চারাইজার নষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখে। তবে অ্যালকোহল ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। তাই এর ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
অ্যালকোহল সংরক্ষক এবং দ্রাবক- দুই হিসেবে কাজ করে। আমাদের নিয়মিত ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটিই প্রয়োজনীয়।
রূপচর্চার প্রসাধনীতে বেশি ব্যবহৃত অ্যালকোহল হল ইথানল। এটা ত্বক শুষ্ক করার পাশাপাশি জ্বলুনি সৃষ্টি করে। আর এর উচ্চ যৌগ ত্বকের ক্ষতি করে।
এছাড়াও ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষার স্তর ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি রাসায়নিক উপাদানের শোষণ বাড়ায়, এমনকি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়।
অ্যালকোহলের ব্যবহার এড়ানো প্রসঙ্গে পূজা বলেন, “চাইলেও কেউ সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহলের ব্যবহারের এড়াতে পারবে না। কিন্তু এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।”
“রূপচর্চার সামগ্রীতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। যেগুলোর ব্যবহারও ভিন্ন। তাই সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহলের ব্যবহার বাদ দেওয়া সম্ভব না।”
পরিষ্কারক ‘ওয়াইপস’য়ে থাকা অ্যালকোহল ত্বকে যথেষ্ট কাজ করে না। তাই ত্বক পরিষ্কার করার আগের ধাপে এটা ব্যবহারে সমর্থন করেন তিনি। তবে এর পরিমাণের দিকে সচেতন থাকাও জরুরি।
প্রসাধনীর লেভেলে উপকরণের নাম ও পরিমাণ ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে লেখা হয়।
তাই যদি পণ্যের তালিকায় শুরুতে অ্যালকোলহ লেখা থাকে তবে বুঝতে হবে এতে এর মাত্রা বেশি।
তাই পণ্য ক্রয়ের আগে এর তালিকা দেখে নেওয়া উচিত।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন: