চকলেটও ওজন কমাতে পারে

যদি পরিমিত চকলেট খাওয়ার অভ্যাস করা হয় তবে বাড়তি ওজন কমতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2021, 11:02 AM
Updated : 30 June 2021, 11:02 AM

চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ ওজন কমাতে সহায়তা করে বলে জানা যায় সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে।

সাধারণত ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে মিল্ক চকলেট কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে সেটা জানার জন্যই পর্যবেক্ষণ চালায় ‘ব্রিগাম অ্যান্ড উইমেন্স হসপিটাল’য়ের গবেষকরা।

নারীদের ওপর গবেষণা

‘জার্নাল অব দ্যা ফেডারেশন অব আমেরিকান সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি’তে প্রকাশিত এই পর্যবেক্ষণের ফলাফলে বলা হয়, দিনে বিভিন্ন সময় ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) চকলেট খাওয়া মেনোপোজের আগে বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে।

অংশগ্রহণকারী ১৯ জন নারীকে তিনটি দলে বিভক্ত করা হয়। এক দল সকালে, অন্য দল রাতে চকলেট খান এবং শেষ দলটি কোনো রকম চকলেট খায় না। 

তবে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনেনি। এই পরীক্ষা ১৪ দিন ধরে চলে।

চকলেট ওজন বাড়ায় না

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪ দিন চকলেট খাওয়া পর অংশগ্রহণকারীদের ওজন বাড়েনি না। সুতরাং ওজনের বৃদ্ধির পেছনে চকলেটকে দায়ী করা অপ্রাসঙ্গিক।

নারী স্বাস্থ্যের ওপর চকলেট ইতিবাচক ভূমিকা রাখে

গবেষণায় দেখা গেছে, সকাল ও রাতে চকলেট খাওয়া দুই দলের অংশগ্রহণকারীদেরই ক্ষুধা হ্রাস পায় এবং মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা কমায়।

রাত ও দিনে চকলেট খাওয়ার পার্থক্য

রাত বা দিন দুই সময়ই চকলেট খাওয়া ক্যালরি কমায়। তবে রাতে চকলেট খাওয়া দিনের তুলনায় দ্বিগুণ ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে বলে জানানো হয় এই গবেষণায়।

কারণ সকালে চকলেট খাওয়ার দল গড়ে ১৫০ এবং রাতে চকলেট খাওয়া দল ৩০০ ক্যালরি খরচ করতে পেরেছিল।

রাতে চকলেট খাওয়া দলের অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক পরিশ্রম ৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কোমড়ের মাপ ১.৭ শতাংশ হ্রাস পায় এবং ঘুম চক্র স্বাভাবিক থাকে বলে দেখা যায় গবেষণায়।

অন্ত্রের কার্যক্রম

চকলেট খাওয়ার ফলে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবাইওটা’র কার্যকারিতা বাড়ায় যা ক্ষুধা,

গুরুত্বপূর্ণ ‘কিন্তু’

খাদ্যাভ্যাসে চকলেট যোগ করার আগে আরও কিছু জানা প্রয়োজন।

নারীদের ওজন কমাতে চকলেট সহায়তা করে ঠিকই। তবে এতে ব্যবহৃত চকোলেটের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ৫৪২।

তাই চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে ৩.৫ আউন্স আপনার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় খানিকটা বেশি হবে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন