‘লিভস্পেস’ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো এসব গৃহস্থালী অনুসঙ্গগুলো ভালো রাখার এবং যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় সম্পর্কে।
পানি আর বিদ্যুতের মধ্যে সম্পর্কটা দা কুমড়ার মতোই। আর বর্ষাকালে দুটোকে আলাদ রাখা কঠিনই বটে।
বাড়ির ভেতরের ও বাইরের মূল বৈদ্যুতিক সংযোগের তারগুলো তাই এই ঋতুতে পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ উচ্চ ‘ভোল্টেজ’য়ের এই তারগুলোতে কোথাও ‘লিক’ থাকলে তা ডেকে আনতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা, নষ্ট হতে পারে টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, কম্পিউটার ইত্যাদি যেকোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম।
বাড়ির সুইচবোর্ডগুলো পরীক্ষা করুন। ভেজা হাতে সুইচ চালু কিংবা বন্ধ করা যাবে না, বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার সম্ভাবনা তাতে প্রবল।
আর খারাপ কোনো সুইচ পেলে তা বদলে ফেলতে হবে। বিশেষত রান্নাঘর আর শৌচাগারের সুইচগুলোতেই এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
ঘরের কোথাও ঝুলন্ত তার থাকলে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে।
বাড়ির যেকোনো মরিচা পড়া পাইপ বদলে ফেলতে হবে। পরিবর্তে মরিচা পড়ে না এমন উপাদানের পাইপ ব্যবহার করতে হবে।
বিদ্যুত চমকানোর সময় ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো বন্ধ রাখতে হবে। বিশেষত ইন্টারনেট রাউটার।
কাঠের আসবাবের যত্ন
কাঠের দরজা সব বাড়িতেই থাকে। দরজা পুরানো হলে খেয়াল করবেন বর্ষাকালে দরজা খুলতে-বন্ধ করতে অসুবিধা হয়। এর কারণ হল বর্ষায় কাঠের দরজার ভেতর আর্দ্রতা জমে তা ফুলে যায়।
এতে দরজা ভেতর থেকে নষ্ট হতে থাকে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় বর্ষাকালের শুরুতেই কাঠের দরজাগুলো বার্নিশ করে নেওয়া।
কাঠের আসবাবপত্রেও একই সমস্যা দেখা দেয়। আবার ছত্রাক সংক্রমণও হতে দেখা যায় বিভিন্ন কোণায় এবং দেয়ালের দিকে থাকা অংশে।
এই অংশগুলো সহজে চোখে পড়ে না। আবার সেখানে আলো-বাতাসও কম পৌঁছায়।
এজন্য বর্ষার শুরুতে ঘরের সকল কাঠের আসবাবপত্রে এক পরত ‘ল্যাকার’ মাখিয়ে নিতে হবে মিস্ত্রি ডেকে এনে। সঙ্গে বার্নিশ, পলিশও করিয়ে নিতে পারেন। একবার করালে কয়েক বছর নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
কাঠের মেঝে আছে এমন বাড়ি আমাদের দেশে সংখ্যার অনেক কম হলেও আছে।
আর্দ্রতা জমে এবং ছত্রাক সংক্রমণের কারণে এই কাঠগুলো নিচ থেকে পচে যায়। ফলে তা ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই বর্ষায় আগেই মোমভিত্তিক ‘সিল্যান্ড’ প্রয়োগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন