বর্ষা মৌসুমে ত্বক ভালো রাখতে

ত্বক ভেদে রূপচর্চা ভিন্ন হতে পারে। তবে বর্ষাকালে চাই নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2021, 10:38 AM
Updated : 20 June 2021, 10:38 AM

আর ভেজা আবহাওয়া ত্বকে ব্রণের সমস্যা তৈরি করে। পাশাপাশি মুখ করে তৈলাক্ত।

এসব থেকে মুক্তি পেতে ভারতের কসমেটিক ইঞ্জিনিয়ার এবং ‘কসমিক নিউট্রাকস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডলি কুমার বর্ষাকালে ত্বক ভালো রাখার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানান।

ক্লিঞ্জিং: বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা ত্বকে ময়লা আটকে দেয় এবং লোমকূপ আবদ্ধ করে দেয়। ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। এতে করে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু বাসা বাঁধে।

হারজিন্দেগি ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডলি পরামর্শ দেন, বর্ষা মৌসুমে ত্বক পরিষ্কার রাখতে ও তেল চিটচিটেভাব কমাতে দিনে কমপক্ষে তিনবার ত্বক পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।

টোনার: দৈনিক ত্বকের যত্নে টোনার ব্যবহার আবশ্যক যা অনেকেই বাদ দিয়ে যান। এটা ত্বকের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং প্রয়োজন মতো ত্বকের উপরিভাগে মৃদু অম্লীয়ভাব ধরে রাখে। উন্নত মানের টোনার ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়তা করে।

দিনে ক্রিম ব্যবহার: আর্দ্র আবহাওয়া কেবল ত্বককে তৈলাক্ত করে না বরং শুষ্কও করে ফেলতে পারে। আর এটা বর্ষায় ত্বকের একটা গুরুতর সমস্যা।

বৃষ্টি ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই এই সময়ে দিনে আর্দ্রতা রক্ষার জন্য হালকা ‘ডে ক্রিম’ ব্যবহার করা উপকারী। এতে ত্বক আর্দ্র, মসৃণ ও সুস্থ থাকবে।

পানি ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার: ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হলে পানি নির্ভর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা কার্যকর হবে। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।

সানস্ক্রিন: শীত, বর্ষা, মেঘলা আকাশ আর রৌদ্রোজ্জ্বল দিন- আবহাওয়া যেমনই হোক না কেনো বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি সানব্লক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

এক্সফলিয়েট: নিয়মিত ত্বকে এক্সফলিয়েট আমূল পরিবর্তন আনে। প্রতিদিন এক্সফলিয়েট করা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মৃদু এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করতে হবে।  

হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করে গোলাকারভাবে ও উপরের দিকে বরাবর মালিশ করে ত্বক এক্সফলিয়েট করে নিন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ক্রাব ব্যবহার ত্বক শুষ্ক করা ছাড়াই রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান: ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে। বর্তমানে বাজারে অধিকাংশ প্রসাধনীই ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি।

তাই কেনার আগে উপকরণের তালিকা দেখে কেনা জরুরি। এই ধরনের প্রসাধনী ত্বকে সাময়িকভাবে ভালো পরিবর্তন আনলেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন করে থাকে।

ত্বক ভালো রাখতে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।

ক্লে মাস্ক: সপ্তাহে দুবার ক্লে মাস্ক ব্যবহার ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয় এবং মৃদু ব্রণ দূর করে। এছাড়াও অন্যান্য ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস দূর করতে সাহায্য করে।

আর্দ্রতা: দেহের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি। তাই শরীর সুস্থ ও আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান (দৈনিক কম পক্ষে আট গ্লাস) করা উচিত। 

ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি জরুরি। খাবার তালিকায় ভিটামিন সি রাখা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের সংক্রমণ দূর করতেও সহায়তা করে।

আরও পড়ুন