আত্মিয় স্বজনদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার রয়েছে উপায়।
Published : 13 Jun 2021, 07:20 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছুই তুলে ধরেন, যা অনেক সময় তার পরিবারের সদস্যরা সহজভাবে নিতে পারেন না।
আবার কারও ‘পোস্ট’য়ে তার পরিবারের মানুষের কিছু প্রশ্ন ওই ব্যক্তিকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে।
পরিবারের সকলের সঙ্গে একজন মানুষের সম্পর্কের মাত্রা একরকম হয় না। ফলে নিজের জীবনের দৈনন্দিন ঘটনাগুলো সবাইকে জানাতে না চাওয়াতে দোষের কিছু নেই।
আবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু ‘পোস্ট’ করার সময় পরিবারের মানুষ দেখলে কি বলবে তা নিয়ে যদি চিন্তা করতে হয় তবে সেটাও মোটেই সুখকর পরিস্থিতি নয়।
তাই বলে পরিবার বা বংশের মানুষগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এড়িয়ে চলাও সবার জন্য সম্ভব হয় না।
সেটা আবার ভিন্ন ধরনের সন্দেহ তৈরি করে। তাহলে এই উভয় সঙ্কট থেকে বাঁচার পথ কী?
সবচাইতে নির্ভেজাল উপায় হবে পরিবারের মানুষদের আলাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করা।
এতে আপনার ঝক্কি যে বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই তবে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নবান থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ ড. গোয়ালি সায়েদি বোচ্চি বলেন, “ব্যক্তিগত আর পরিবারের জন্য আলাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করার মাধ্যমে মানসিকভাবে অনেক ভালো থাকতে পারবেন। পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ যেমন বজায় থাকবে তেমনি নতুন কোনো পোস্ট দেওয়া সময় কিংবা কৌতুক ‘শেয়ার’ করার সময় দশবার ভাবতে হবে না।”
‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বোচ্চি আরও বলেন, “দুইটি ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করতে যদি নাই চান, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ‘অ্যাকাউন্ট’য়ের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’য়ে অত্যন্ত পারদর্শী হতে হবে।”
“ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ‘সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম’য়ের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ আপনার নখদর্পনে থাকা লাগবে। নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের এই ‘প্লাটফর্ম’গুলো কে কতটুকু দেখতে পাচ্ছে তা জানার গুরুত্ব মোটেই কম নয়।”
শুধু পরিবারের প্রশ্ন থেকে বাঁচতেই নয়, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সবার কাছে উন্মুক্ত না করার আরও অসংখ্য কারণ আছে।
সবদিক মানিয়ে চলতে পারলে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমগুলো পরিবারের মানুষগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক গভীর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
দূরের আত্মীয়, যাদের সঙ্গে সচরাচর দেখা কিংবা কথা হয় না, তারাও আপনার দৈনন্দিন জীবনের কিছু বিষয় জানতে পারবে।
আবার তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ওই মানুষগুলো সম্পর্কেও অনেক কিছু আপনি জানতে পারবেন।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন