সোজা কিংবা কোঁকড়া করা- চলতি ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে চুলে নানান স্টাইল করতে হয়ত ব্যবহার করছেন ‘স্ট্রেইটনার’ বা ‘কার্লার’।
তাপ প্রয়োগ করে চুলের নকশা পাল্টাতে যত ধরনের যন্ত্র আছে সবগুলো ব্যবহারেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘মিকামি ইন্ডিয়া’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌম্য আহুজা বলেন, “চুল ভালো রাখতে এতে কোনো তাপীয় যন্ত্র ব্যবহার করবেন না। এটা কেবল চুলের উজ্জ্বলতাই নষ্ট করে না পাশাপাশি দুর্বল ও নির্জীবও করে তোলে।”
যদিও ‘স্টাইলিং টুলস’গুলো চুলের গ্ল্যামার বাড়ায়। তবে সেটা উপর দিয়ে। ভেতরে যা ক্ষতি করে তা হল- ভঙ্গুর চুল, শুষ্কতা এবং আগা ফাটার সমস্যা।
আর এই ধরনের সমস্যা নিরসনে প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর ভরসার কথা জানান সৌম্য।
অ্যালো ভেরার জেল
শুষ্ক চুলের যত্নে অ্যালো ভেরার জেল সবচেয়ে ভালো মাস্ক হিসেবে কাজ করে। এর প্রদাহ নাশক উপাদান মাথার ত্বকের জ্বলুনি কমায়। চুল আর্দ্র রাখতে অ্যালো ভেরা ‘ডিপ কন্ডিশনার’ হিসেবে কাজ করে।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
চুল ভালো রাখার মূল চাবি কাঠি হল ‘তেল’। নিয়মিত তেল দেওয়া চুলের দুর্বলতা দূর করে ও শুষ্ক ভাব কমায়।
তেল দেওয়া চুলের ‘ফলিকল’কে মজবুত করে, মাথার ত্বক সুস্থ রাখে। আর চুল আর্দ্র ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
জেলেটিন
খাঁটি জিলেটিন চুলের ভিটামিন যোগাতে ভালো কাজ করে। এটা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং মসৃণ ও উজ্জ্বলভাব আনে।
গরম পানিতে জেলেটন মিশিয়ে, সঙ্গে তেল যোগ করে চুলে ব্যবহার করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
কলা ও মধুর মাস্ক
তাজা কলা পুষ্টিতে ভরপুর এবং এটা চুলে বেশ সুগন্ধিও যোগ করে। কলা চুলে চকচকেভাব আনে ও মজবুত করে। মধু আন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা, তাপের কারণে হওয়া হওয়া চুলের ক্ষতি সারায় সহায়তা করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
চুল ভালো রাখতে উন্নত খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। মনোযোগ দিয়ে খাওয়া, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-থ্রি ধরনের খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা, চুলের ক্ষতিপূরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
চুল ভালো রাখতে কৃত্রিম তাপীয় যন্ত্র বা প্রসাধনী ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন করা উপকারী। এতে চুলের নানান সমস্যা দূর হয় এবং চুল দেখতে সুন্দর হয়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন