আমাদের দেশে শীতকাল ছাড়া বেশিরভাগ ঋতুতেই ঘামতে হয়। মেঘলা দিনেও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে অল্প পরিশ্রমে ঘাম হয়। সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রয়োজনীয় লবণ।
শুধু পানি পানে এই ঘাটতি পূরণ হয় না। সঙ্গে চাই বাড়তি কিছু।
নিউ ইয়র্ক’য়ের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কেরি গান্স বলেন, “গরমে অনেকের ঘাম বেশি হয় এবং শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। ঘামের সঙ্গে কেবল পানি নয় ইলেক্ট্রোলাইটও শরীর থেকে বের হয়ে যায়।”
‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “পর্যাপ্ত পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত তাপের সৃষ্টি হয়।”
শরীরের আর্দ্রতা পুনরায় যোগাতে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করা জরুরি।
নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক ডানা কোহেন জানান, “প্রাপ্ত বয়স্কদের ওজনের ৬০ ভাগ পর্যন্ত পানি। পানি শরীরকে সুষ্ঠুভাবে চালাতে, বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।”
সবজি এবং ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা দেহের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
ডা. কোহেন এবং গানস’য়ের মতে জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ কয়েকটি ফল ও সবজি সম্পর্কে জানানো হল।
তরমুজ: তরমুজে জলীয় অংশের পরিমাণ প্রায় ৯২ শতাংশ এবং এতে রয়েছে খনিজ উপাদান ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি এবং এ।
শসা: ৯৬ শতাংশ জলীয় অংশ রয়েছে, যা গরমকালের জন্য উপযুক্ত। ত্বক ভালো রাখা ও উন্নত আঁশ খাবার তালিকায় রাখতে শসা খুবই উপকারী।
লেটুস: মজাদার সালাদ তৈরিতে লেটুস পাতা বেশ জনপ্রিয়। যারা খাবার তালিকায় বাড়তি পানি যোগ করতে চান তাদের জন্য লেটুস ভালো উপায় হতে পারে। রোমাইন লেটুসে ৯৫ শতাংশ জল, তাই সবুজ সালাদ খাওয়া ও পাশাপাশি জলীয় উপাদান গ্রহণের ক্ষেত্রে লেটুস উপকারী।
টমেটো: সালাদ তৈরিতে টমেটোর ব্যবহার জনপ্রিয়। এতে জলীয় অংশ বেশি। এছাড়াও রয়েছে পটাসিয়াম। ঘামের কারণে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া খনিজ ও ভিটামিন পূরণে টমেটো সহায়তা করে।
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরির ৯১ ভাগই জলীয় অংশ। এর আঁশবহুল অংশ পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যাণ্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
খরমুজ বা বাঙ্গি: বাঙ্গির ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ এবং এটা ভিটামিন এ’র ভালো উৎস (এক কাপ বাঙ্গিতে দৈনিক চাহিদার ১২০ শতাংশ ভিটামিন এ থাকে)। ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বাঙ্গি খাওয়া উপকারী।
কমলা: দিনের শুরুতে এক গ্লাস কমলার রস খাওয়া কেবল ভিটামিন সি’র চাহিদা মিটায় না পাশাপাশি জলীয় অংশের চাহিদাও পূরণ করে। কমলায় ৮৬ শতাংশ পানি। ফলে তা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন